চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২২ এপ্রিল উদযাপিত হবে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে পোশাক শিল্প শ্রমিক-কর্মচারীদের রোজার মাসের শেষ কর্মদিবস ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তবে যাতায়াত সুবিধা ও রাস্তায় চাপ সামলাতে ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগে থেকে ধাপে ধাপে ছুটি শুরুর জন্য খাত-সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল থেকে পোশাক শ্রমিকদের ছুটির কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি কারখানা মালিকদের উৎপাদন সময় ও রমজান মাসের সরকারি, সাপ্তাহিক ছুটি শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঈদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছে বিজিএমইএ।
এ ছাড়া কারখানায় শ্রম অসন্তোষের আশঙ্কা দেখা দিলে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএকে অবহিত করার জন্য কারখানা মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।
সম্প্রতি বিজিএমইএ সদস্যদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল। সে হিসাবে ২১ এপ্রিল থেকে ঈদের ছুটি শুরু (চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল)। ফলে ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের নিরাপদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া-আসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়ে কতিপয় নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিজিএমইএর নির্দেশনা : যাতায়াতে শ্রমিকের চাপ কমাতে ধাপে ধাপে ছুটি দেওয়ার অনুরোধ। সে জন্য সুযোগ থাকলে কারখানা মালিকদের ঈদের ২/৩ দিন আগে ছুটি দেওয়ার পরামর্শ। এ ছাড়া কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে রমজান মাসে বিভিন্ন সরকারি/সাপ্তাহিক ছুটির দিন কাজ চালিয়ে ঈদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন।
শ্রমিকদের মাল বোঝাই করা ট্রাকে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। এ ছাড়া তাড়াহুড়া করে রাস্তা পারাপার না করা, রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা, সাধারণ মানুষের যাতায়াত/ চলাচল বিঘ্ন না করা, অপরিচিত লোকের কাছ থেকে কিছু না খাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে কারখানা মালিকদের সচেতনতামূলক সতর্কতা শ্রমিকদের জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে; প্রয়োজনে কারখানার ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড প্রদর্শন করে ৮/১০ জনের টিম গঠন করে গ্রুপ যাত্রার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে বিজিএমইএ সদস্যদের জানিয়েছে, তৃতীয় কোনো পক্ষ শ্রমিক অসন্তোষ ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে কারখানায় শ্রম অসন্তোষ হতে পারে এ ধরনের কোনো আশঙ্কা দেখা দিলে প্রয়োজনে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, কলকারখানা অধিদপ্তর অথবা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করার কারখানা মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।