মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যেকার সম্পর্ক এই গ্রহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি। যদিও সম্প্রতি বহু যুগের এই সম্পর্কে বড় ফাটল দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে সৌদি নেতৃত্বাধীন ওপেক এই মাসের শুরুতে তেলের উৎপাদন হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তারা এখন সৌদি আরবকে ভয়াবহ পরিণামের হুমকি দিচ্ছে।
সিএনএনের খবরে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন সৌদি আরবকে শাস্তি দিতে যা বলছে তা কদিন আগে চিন্তাই করা যেত না। মার্কিন আইনপ্রণেতারা সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরী তেলের মজুদ গত চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্নে রয়েছে। এরমধ্যে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ হ্রাস পেলে তা সামনে কঠিন সংকট ডেকে আনতে পারে। এখন মার্কিন রাজনীতিবিদরা রিয়াদকে শাস্তি দিতে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠেছে।
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষই উত্তেজনা আড়াল করার চেষ্টা করছে না। সৌদি আরব দিন দিন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আরও পরিণত হয়ে উঠছে বলেও প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে আর ‘হাই স্কুলের প্রেমের’ মতো সম্পর্ক নেই তা এখন প্রকাশ্যে চলে এসে। এর যে প্রভাব পড়তে যাচ্ছে তা দুই দেশের জন্যই গুরুতর হতে পারে। কয়েক দশকের পুরনো এই সম্পর্ক যদি পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য তা বেশ খারাপ খবর। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা আর না বললেই নয়। ইউরেশিয়া গ্রুপের পরিচালক ক্লেটন অ্যালেন বলেন, এর আগে সম্পর্ক এত খারাপ অবস্থায় নামেনি। আমরা বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কের অবনতি দেখেছি। তবে এবারই সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে।