হবিগঞ্জে টানা ১৯ দিন আন্দোলনের পর মজুরি নিয়ে সমস্যার অবসান হওয়ায় ২৪টি চা বাগানে আনন্দ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা। তবে রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় কাজে যোগ দেননি শ্রমিকরা।
রোববার সকাল থেকেই শ্রমিকরা দারাগাঁও, চান্দপুর, ফয়জাবাদ, রশিদপুরসহ বিভিন্ন বাগানে জড়ো হতে থাকেন। পরে দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তারা মিছিল করেন। সোমবার (২৯ আগস্ট) থেকে পুরোদমে কাজে যোগ দেবেন তারা।
দারাগাঁও পঞ্চায়েত সভাপতি প্রেমলাল আহির বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের মজুরি সমস্যর অবসান করে দেয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল করেছি। শ্রমিকরা এতে খুশি। এখন যেহেতু রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ তাই সোমবার থেকে পুরোদমে কাজে যোগ দেবেন শ্রমিকরা।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা-শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি।
এক বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। পরবর্তী সময়ে শ্রমিকরা এ মজুরি মানেন না জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন। কয়েক দফা বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত সোমবার (২২ আগস্ট) তাদের একাংশ কাজে যোগ দিলেও মঙ্গলবার ফের তারা আন্দোলন শুরু করেন।
শনিবার (২৭ আগস্ট) গণভবনে চা-বাগান মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে সিদ্ধান্ত হয়। এতে খুশি হয়েছেন চা-শ্রমিকরা।