মালয়েশিয়া প্রবাসী এক যুবককে ভিডিও কলে রেখে পান্না আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতের কোনো এক সময় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
পরে শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেনায়েতপুর গ্রামের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পান্না রায়পুর উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের পূর্ব চরপাতা গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে। তিনি একটি পরিবারের গৃহকর্মী ছিলেন। ফোনে বিয়ে করা তার কথিত স্বামী ইসরাফিল হোসেনের বাড়ি যশোর জেলায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর গ্রামে আমিন ম্যানশন নামে একটি পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া মো. নুরুল আমিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে পান্না কাজ করতেন। যশোর জেলার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী ইসরাফিল হোসেনের সঙ্গে তার ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফোনেই তাদের বিয়ে হয়।
গত ২৩ আগস্ট যশোর থেকে ইসরাফিলের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা ওই গৃহকর্তার বাসায় পান্নাকে দেখতে আসেন। তারা ফিরে যাওয়ার তিনদিন পর শুক্রবার রাতে পান্না তার গৃহকর্তার বাসার একটি কক্ষের দরজা বন্ধ করে তার স্বামী ইসরাফিলের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখেই তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে শনিবার সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পান্না আক্তারের ভাই রিপন বলেন, প্রবাসী ইসরাফিলের সঙ্গে ফোনে আমার বোনের বিয়ে হয়। ইসরাফিলের বাবা আমার বোনকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি ফিরে গিয়ে হয়তো পান্নাকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এ জন্য তিনি অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এক প্রবাসী ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারেছি।