ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ফরিদগঞ্জে ১ম স্ত্রী সন্তানকে ঘরে তালা বন্দি করে রেখে ২য় স্ত্রীকে নিয়ে স্বামীর পলায়ন

সাংবাদিক

মোঃ জাকির হোসেন, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর প্রতিনিধি।।

ঘাতক স্বামী সেলিম ৩৮ প্রথম স্ত্রী সাথী আক্তার ও সন্তানদেরকে ঘরে তালা মেরে রেখে, পরকীয়া করে ২সন্তানের জননী রুবিনা কে নিয়ে পলাযন। ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইক পাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর বটতলা ছন্দার বাড়িতে। প্রথম স্ত্রী ভুক্তভোগী সাথী আক্তার যানান ২৬/৬/২০১৩ সালে বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যালয় চাঁদপুর বিবাহ হলফ নামা সম্পাদনের মাধ্যমে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক ২ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য্যে আসামি সেলিমের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয়। আসামি সেলিম আমার পাশের বাড়ির বাসিন্দা। সেলিমের সাথে আমি দীর্ঘ ১২ বছর যাবত ঘর সংসার করে আসছি। আসামী সেলিম এর ঔরযজাত বর্তমানে দুটি ছেলে সন্তান আছে, বড় ছেলে জুবায়েদ বয়স ১২ বছর, ছোট ছেলে জুয়েল বয়স ৭ বছর বয়সী দুই নাবালক পুত্র সন্তান বিদ্যমান আছে। আসামি আমার স্বামী একজন অটো ড্রাইভার। আমার স্বামী সেলিম গাজীপুর জায়গা কিনার জন্য আমার নিকট ১৫ লক্ষ টাকার যৌতুক চাহিয়া নির্যাতন করিয়া আসিতে থাকে। আমিও আমার স্বামীর সুখের কথা চিন্তা করিয়া আমার পিত্রালয থেকে সেলিমকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করি। ৭শতাংশ জায়গা কিনার সময় সেলিম আমার নামে সাড়ে ৩শতাংশ সেলিম তার নিজের নামে সাড়ে ৩ শতাংশ জাগা নিবে বলিয়া আশ্বাস দেয়। কিন্তু সেলিম প্রতারণা করিয়া ৭ শতাংশ জায়গায়ই তার নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়।আসামী সেলিম আমার পিতৃপক্ষের ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে নাই। আসামি সেলিম অজ্ঞাতসরে গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দ্বিতীয় বার আসামি আমার স্বামী সেলিম সিএনজি কিনার জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাহিয়া যৌতুক দাবি করে। আমি টাকা আনিয়া দিতে অপরাগতা প্রকাশ করিলে আসামি সেলিম আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করিয়া আমার দুই পুত্র সন্তানসহ আমার পিএালয়ে তাড়াইয়া দেয়। আমি যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা না দিলে আর আসামী সেলিম আমাকে ঘরে নিবে না সময় দেয়। গ্রামীন সালিশির মাধ্যমে পুনরায় আমি আমার বসত ঘরে আসি। বসত ঘরে থাকার পর দ্বিতীয় স্ত্রী সতীন রুবিনাকে আমার বসত ঘরে নিয়ে আসে। আমি মেনে নিয়ে আমার সতীন রুবিনা ও আমি একই ঘরে, একই সাথে ২মাস বসবাস করে আসিতেছি,মাঝে মাঝে আমার স্বামী সেলিম আমার সাথে প্রাই খারাপ আচরণ করে, সে জুড়া,মদ, গাজা খায়। সে আওয়ামী লীগের নেতার পরিচয় দেয় এবং হুমকি দেয়। তাকে ভালো মন্দ কিছুই বলতে পারি না। আমাকে আর আমার সন্তানকে সহ ঘরে তালা মেরে রেখে যায়।আবার সময় মতো এসে ঘরের তালা খুলে দেয়। আমরা ঘরের ভিতরেই থাকি বাইরে আর আলো বাতাস দেখতে পাই না, কিছু বললেই সে আমার উপর শাররিক মানসিক নির্যাতন করে, এবং আমাকে গুম খুনের হুমকি দেয় এবং ঘর থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলে আবার আমার নামে খারা মন্তব্য করে। ১৮ তারিখ বুধবার সকালে ২য় স্ত্রী রুবিনা কে নিয়ে তার নিজস্ব বাবার ঘরে নিয়ে যায়, সেখানে গিয়ে আমি বাধা প্রদান করলে এলো পাতাড়ী কিল ঘুসি মেরে যখন করে। এতে সাথীর বাবা নান্নু মিয়া পাটোয়ারী ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সাথীর মা তফুরের নেছা বলেম আমার মেয়েকে কি ভাবে বিদায় দিতে পারে দেক। আমার মেয়ের নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই। পার্শ্ববর্তী কাজল বেগম বলেন সব সময় তাকে ঘরে বন্দি করে রাখে এবং খারাপ মন্তব্য করে আসলে সাথী একজন ভাল মেয়ে সে তার সতীনকে মেনে নিয়েছিল। দোকানদার মুজিব পাটারি বলেন সে সব সময় এই মেয়ের উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে, সে এদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়িঘর জায়গা সম্পদ কিনেছে, এবং দ্বিতীয় বিবাহ করেছে সে আসলে একজন মাদক সেবনকারী জুয়াড়ি সে আওয়ামী লীগের আমলে দলের দায়িত্ব নিয়ে বহুৎ প্রভাব বিস্তার করেছে এলাকা মাদক সেবন জুয়ারের আড্ডা করেছিল। সেলিমকে মোঠ ফোনে কথা বললে সে সম্পূর্ণ দায় এড়িয়ে যায়। আমার দ্বিতীয় স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছিল বেড়াতে আমি বাপের বাড়ি থেকে আমার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসি,গত ১৮ তারিখ বুধবার সকালে সেখানেই সাথী গিয়ে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে বলে জানান। প্রথম স্ত্রী সাথিকে মার ধর ঘরে তালা মেরে রাখার কথা বললে সে অস্বীকার করে। সেলিম দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে পালিয়ে আছে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৩৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
৫৬১ Time View

ফরিদগঞ্জে ১ম স্ত্রী সন্তানকে ঘরে তালা বন্দি করে রেখে ২য় স্ত্রীকে নিয়ে স্বামীর পলায়ন

আপডেটের সময় : ০৩:৩৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

মোঃ জাকির হোসেন, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর প্রতিনিধি।।

ঘাতক স্বামী সেলিম ৩৮ প্রথম স্ত্রী সাথী আক্তার ও সন্তানদেরকে ঘরে তালা মেরে রেখে, পরকীয়া করে ২সন্তানের জননী রুবিনা কে নিয়ে পলাযন। ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাইক পাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীপুর বটতলা ছন্দার বাড়িতে। প্রথম স্ত্রী ভুক্তভোগী সাথী আক্তার যানান ২৬/৬/২০১৩ সালে বিজ্ঞ নোটারি পাবলিকের কার্যালয় চাঁদপুর বিবাহ হলফ নামা সম্পাদনের মাধ্যমে ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক ২ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য্যে আসামি সেলিমের সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন হয়। আসামি সেলিম আমার পাশের বাড়ির বাসিন্দা। সেলিমের সাথে আমি দীর্ঘ ১২ বছর যাবত ঘর সংসার করে আসছি। আসামী সেলিম এর ঔরযজাত বর্তমানে দুটি ছেলে সন্তান আছে, বড় ছেলে জুবায়েদ বয়স ১২ বছর, ছোট ছেলে জুয়েল বয়স ৭ বছর বয়সী দুই নাবালক পুত্র সন্তান বিদ্যমান আছে। আসামি আমার স্বামী একজন অটো ড্রাইভার। আমার স্বামী সেলিম গাজীপুর জায়গা কিনার জন্য আমার নিকট ১৫ লক্ষ টাকার যৌতুক চাহিয়া নির্যাতন করিয়া আসিতে থাকে। আমিও আমার স্বামীর সুখের কথা চিন্তা করিয়া আমার পিত্রালয থেকে সেলিমকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ প্রদান করি। ৭শতাংশ জায়গা কিনার সময় সেলিম আমার নামে সাড়ে ৩শতাংশ সেলিম তার নিজের নামে সাড়ে ৩ শতাংশ জাগা নিবে বলিয়া আশ্বাস দেয়। কিন্তু সেলিম প্রতারণা করিয়া ৭ শতাংশ জায়গায়ই তার নামে রেজিস্ট্রি করে নেয়।আসামী সেলিম আমার পিতৃপক্ষের ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে নাই। আসামি সেলিম অজ্ঞাতসরে গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দ্বিতীয় বার আসামি আমার স্বামী সেলিম সিএনজি কিনার জন্য ৫ লক্ষ টাকা চাহিয়া যৌতুক দাবি করে। আমি টাকা আনিয়া দিতে অপরাগতা প্রকাশ করিলে আসামি সেলিম আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করিয়া আমার দুই পুত্র সন্তানসহ আমার পিএালয়ে তাড়াইয়া দেয়। আমি যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা না দিলে আর আসামী সেলিম আমাকে ঘরে নিবে না সময় দেয়। গ্রামীন সালিশির মাধ্যমে পুনরায় আমি আমার বসত ঘরে আসি। বসত ঘরে থাকার পর দ্বিতীয় স্ত্রী সতীন রুবিনাকে আমার বসত ঘরে নিয়ে আসে। আমি মেনে নিয়ে আমার সতীন রুবিনা ও আমি একই ঘরে, একই সাথে ২মাস বসবাস করে আসিতেছি,মাঝে মাঝে আমার স্বামী সেলিম আমার সাথে প্রাই খারাপ আচরণ করে, সে জুড়া,মদ, গাজা খায়। সে আওয়ামী লীগের নেতার পরিচয় দেয় এবং হুমকি দেয়। তাকে ভালো মন্দ কিছুই বলতে পারি না। আমাকে আর আমার সন্তানকে সহ ঘরে তালা মেরে রেখে যায়।আবার সময় মতো এসে ঘরের তালা খুলে দেয়। আমরা ঘরের ভিতরেই থাকি বাইরে আর আলো বাতাস দেখতে পাই না, কিছু বললেই সে আমার উপর শাররিক মানসিক নির্যাতন করে, এবং আমাকে গুম খুনের হুমকি দেয় এবং ঘর থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলে আবার আমার নামে খারা মন্তব্য করে। ১৮ তারিখ বুধবার সকালে ২য় স্ত্রী রুবিনা কে নিয়ে তার নিজস্ব বাবার ঘরে নিয়ে যায়, সেখানে গিয়ে আমি বাধা প্রদান করলে এলো পাতাড়ী কিল ঘুসি মেরে যখন করে। এতে সাথীর বাবা নান্নু মিয়া পাটোয়ারী ক্ষিপ্ত হয়ে ফরিদগঞ্জ সেনা ক্যাম্পে ও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সাথীর মা তফুরের নেছা বলেম আমার মেয়েকে কি ভাবে বিদায় দিতে পারে দেক। আমার মেয়ের নির্যাতনের সঠিক বিচার চাই। পার্শ্ববর্তী কাজল বেগম বলেন সব সময় তাকে ঘরে বন্দি করে রাখে এবং খারাপ মন্তব্য করে আসলে সাথী একজন ভাল মেয়ে সে তার সতীনকে মেনে নিয়েছিল। দোকানদার মুজিব পাটারি বলেন সে সব সময় এই মেয়ের উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে, সে এদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়িঘর জায়গা সম্পদ কিনেছে, এবং দ্বিতীয় বিবাহ করেছে সে আসলে একজন মাদক সেবনকারী জুয়াড়ি সে আওয়ামী লীগের আমলে দলের দায়িত্ব নিয়ে বহুৎ প্রভাব বিস্তার করেছে এলাকা মাদক সেবন জুয়ারের আড্ডা করেছিল। সেলিমকে মোঠ ফোনে কথা বললে সে সম্পূর্ণ দায় এড়িয়ে যায়। আমার দ্বিতীয় স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েছিল বেড়াতে আমি বাপের বাড়ি থেকে আমার বাবার বাড়িতে নিয়ে আসি,গত ১৮ তারিখ বুধবার সকালে সেখানেই সাথী গিয়ে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে বলে জানান। প্রথম স্ত্রী সাথিকে মার ধর ঘরে তালা মেরে রাখার কথা বললে সে অস্বীকার করে। সেলিম দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে পালিয়ে আছে।