মোঃ মনির হোসেন: সম্পত্তিকে ইস্যু করে শত্রুতাবশত এক প্রবাসীর ঘরে খোরশেদ আলম ও শাহ আলম গংরা অজ্ঞাত নামা কজন নিয়ে একই বাড়ির শফিউল্লাহ মিজির ঘরে ঢুকে শফিউল্লাহর স্ত্রী জাহানারা বেগমকে মারধর এবং রক্তাক্ত জখম করে স্বর্ণের চেইন ও বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে, এবং পরক্ষণেই ঘরের পাশ দিয়ে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে ওই পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ফেব্রুয়ারি সকাল দশটায় চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭ নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের সীছিয়াখালী গ্রামের মিয়াজী বাড়ির শফিউল্লাহ,র বসতঘর ও ঘরের সামনে।
অভিযোগের আলোকে ওই বাড়িতে গেলে দেখা যায়, শফিউল্লাহ মিজির বিল্ডিংয়ের সামনে দুই পর্বে বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে তাদের অবরোধ করে রাখা হয়েছে। এসময় মারাত্মক আহত শফিউল্লাহর স্ত্রী জাহানারা বেগম জানান একই বাড়ির খোরশেদ আলম গংরা গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটায় অজ্ঞাত নামা লোকজনসহ তাদের ঘরে প্রবেশ করে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে খোরশেদ তাকে জবাই করে দিতে চায়। এ সময় তিনি জানে বাঁচার জন্য চিৎকার ও ধস্তাধস্তি করতে গেলে ডান হাতের বাহুতে কেটে যায়। তার ডাক ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরক্ষণেই খোরশেদ ও শাহ আলম গংরা তাদের বসতবাড়ির চলার পথে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় তারা জাহানারা বেগমের গলার চেইন এবং বিল্ডিং এর বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে ফেলে বলে জাহানারা জানান।
একই বাড়ির রুহুল আমিন, জাহাঙ্গীর, আব্দুল মান্নান, হাসিনা বেগম, জহিরসহ অনেকে জানান, আমরা জাহানারা বেগমের ডাক চিৎকার শুনে এসে দেখি তিনি অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। পরে তাকে দ্রুত ভাবে চাঁদপুর সদর হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করি। তারা বলেন খোরশেদ ও শাহ আলম গংরা দুষ্ট প্রকৃতির লোক। তারা শফিউল্লাহ মিজির ঘরে ঢুকে যা কিছু করেছে তা ঠিক করেনি। এছাড়া তারা যে দাবি করে শফিউল্লাহ মিজির চলার পথে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ। খোরশেদ গংরা উল্লেখিত স্থানে কোন সম্পত্তি পাবে না বলে তারা জানান। বিষয়টি নিয়ে শফিউল্লাহ মিজির সাথে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। কিন্তু খোরশেদ এবং শাহ আলম গংরা আমার ঘরে ঢুকে এবং আমার বাড়িতে এসে যা কিছু করেছে তাহা অমানবিক। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয় নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। যার নং ১৩-০৯/০২/২২, মামলার তদন্তকারী এসআই আনোয়ার জানান অভিযোগের আলোকে ২ নং আসামী কে আমরা আটক করেছি। এবং তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। সঠিক তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।