আজ মঙ্গলবার,২৮, আগস্ট,২০২২ খ্রি. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৯২তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেনইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও ওয়ার্কএবিলিটি এশিয়া’র বোর্ড মেম্বার অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আকতার, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন,
এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাধারণ ধৈর্য শক্তির অধিকারী ছিলেন।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসন মেনে রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে রাজনীতি করা উচিত। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলায় জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পাবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা যদি আমরা নিজেদের মধ্যে ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে তাঁকে যারা হত্যা করেছে তাদের প্রতি প্রকৃত প্রতিশোধ গ্রহণ করা হবে।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র পছন্দ করতেন কিন্তু তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন না। তিনি পুঁজিবাদে নন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। এই কন্ট্রাডিকশন কীভাবে মেটাবেন তার একটি ফর্মুলা বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের আগস্টে এক বক্তৃতায় তিনি তা বলেছিলেন।চার মূলনীতি যেন সবাই সমর্থন করেন এই নিশ্চয়তা চেয়ে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন , “এই চার নীতির ভিত্তিতে দেশ গড়তে চান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর গণতন্ত্র সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের চমৎকার সমন্বয়ে ঘটিয়ে নতুন একটি তত্ত্ব আমাদেরকে উপহার দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। দুঃখজনক হলেও সত্য সেটি আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে আমরা বিশ্বাস করি শত বছর পরে হলেও বঙ্গবন্ধুর এই তত্ত্ব সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পাবে এবং প্রকৃত গণতন্ত্রের সুখ জনগণ উপভোগ করবে।
আর্জিনা খানম বলেন,বঙ্গবন্ধুর রক্তকেও অনেক বেশি ভয় ছিল ঘাতকদের। তাই তাঁর পরিবারের প্রায় সবাইকে হত্যা করে তাঁকে নির্বংশ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। যদিও বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ ধুলিস্যাৎ করতে ঘাতকরা ব্যর্থ হয়েছে।
গবেষক ফারহানা আকতার, ‘নতুন প্রজন্মের চোখে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ধারাবাহিক বক্তৃতার ১১তম পর্বে তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে ১৯৩৮ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত বিস্তৃত সময়কালের ইতিহাস তুলে ধরেন।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সবচেয়ে বড় কর্তব্য হচ্ছে তাঁর আদর্শ, চেতনা ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। স্ব স্ব পেশায় নিয়োজিত থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হলেই কেবল দেশের উন্নয়ন টেকসই হবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার, সিরাজগঞ্জ থেকে মিস হ্যাপি ।