আজ সোমবার,৭ই মার্চ,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে আলোচনা সভার ২১৭তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আবদুস সাত্তার দুলাল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার ও সোলমাইদ হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আফরোজা বেগম নীলা।
সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ভারতের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু আপামর জনসাধারণের মনের ভাষা বুঝতেন।
আর্জিনা খানম বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় প্রতিনিয়ত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠের প্রতিধ্বনি করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
পিনাকী ভট্টাচার্য বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়কেই নাড়া দেয়নি, ভাষণটি সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের মধ্য দিয়ে সমগ্র জাতিকে মুক্তির মোহনায় দাঁড় করিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।
গবেষক আবু সালেক খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে “একক জাতিতে” পরিণত ক’রে এক মঞ্চে নিয়ে এসেছিল এবং একক জাতিসত্ত্বা হতে পেরেই মাত্র নয় মাসে দখলদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল।
আফরোজা বেগম নীলা বলেন, ‘…দাবায়ে রাখতে পারবা না’; আর বঙ্গবন্ধুর মতোই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নিজের কণ্ঠেও ধ্বনিত হয়: ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
দিপু সিদ্দিকী বলেন, আজ সারা বিশ্বে স্বাধীনতা অর্জনের তাৎপর্যপূর্ণ প্রামাণিক দলিল হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক একমাত্র অলিখিতভাবে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণের ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ হেরিটেজ ডকুমেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান আমাদের জন্যে পরম সম্মান ও গৌরবের।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান,কুমিল্লার লাকসাম থেকে প্রভাষক কামাল উদ্দিন ও দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুর্শিদ অর্ণব।
সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার,সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ইএন রুমা ও রাজশাহী থেকে ডা. মাহবুবুল হক মনোয়ার।