আজ রবিবার,৫ জুন,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ সেমিনারের ৩০৬তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক আবু সালেক খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, পিএইচডি গবেষক শামসুন্নাহার লাভলী, নীলফামারী-জলঢাকা থেকে পি এইচ ডি গবেষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা,ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও রংপুর পীরগঞ্জ থেকে শিরীনা আক্তার ।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আবদুস সাত্তার দুলাল ও রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্ঞাত ছিলেন যে, দুর্নীতির সঙ্গে সাধারণ মানুষ নয় শিক্ষিতদের ক্ষুদ্রাংশ জড়িত।দুর্নীতির সঙ্গে যে মূলত শিক্ষিত সমাজের ক্ষুদ্রতম অংশ জড়িত, সে বিষয়টি তিনি একাধিকবার উচ্চারণ করার পাশাপাশি দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সতর্ক করে আত্মশুদ্ধির উপদেশ ও আহ্বান জানিয়েছিলেন।২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে জাতীয় সংসদে প্রদত্ত এক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘করাপশন আমার বাংলার মজদুর করে না। করাপশন করি আমরা শিক্ষিত সমাজ, যারা আজকে ওদের টাকা দিয়ে লেখাপড়া করেছি। আজ যেখানে যাবেন, করাপশন দেখবেন। আমাদের রাস্তা খুঁড়তে যান—করাপশন। খাদ্য কিনতে যান—করাপশন। জিনিস কিনতে যান—করাপশন। বিদেশে গেলে টাকার ওপর করাপশন। তারা কারা? আমরা যে ৫ পারসেন্ট শিক্ষিত সমাজ, আর আমরাই করি বক্তৃতা। আমরা লিখি খবরের কাগজে, আমরাই বড়াই করি। আজ আত্মসমালোচনার দিন এসেছে। এসব চলতে পারে না।’
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ এখন পর্যন্ত প্রকৃত অর্থে বিকশিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে বাকস্বাধীনতা এবং সিভিল সোসাইটি সহ বেসরকারি সেবা খাতগুলোকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা ও সহায়তা প্রদান করতে হবে।
আর্জিনা খানম, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
গবেষক আবু সালেক খান বলেন,বাংলাদেশের নারীরা যদি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে চান,তাহলে তাঁদেরকে বেগম রোকেয়ার পথ অনুসরণ করতে হবে।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,বঙ্গবন্ধু বহুমুখী গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন।তিনি ছিলেন দূরদর্শী এবং প্রাজ্ঞ নেতা।
দিপু সিদ্দিকী বলেন,বঙ্গবন্ধু যখন সৃষ্ট সব সংকট ক্রমান্বয়ে কাটিয়ে উঠে দেশকে একটি স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে এনে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন, তখনই তাকে হত্যা করা হয় সপরিবারে। বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও সাড়ে তিন বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে উপলব্ধি করেছিলেন আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার অন্যতম বাধা হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সোচ্চার এবং দৃঢ় অবস্থানে। বঙ্গবন্ধু তার বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতিতে ও লেখায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অবস্থান সুস্পষ্ট করেছিলেন।
শামসুন্নাহার লাভলী বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা এবং অবকাঠামো বিনির্মাণে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধু অতি সাধারণ জীবন যাপন করে গেছেন। তিনি তাঁর স ন্তানদেরকে বিদেশে পড়াশোনা করাননি।যা আমরা অনুকরণ ও অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছি।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন,সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডকে দুঃখজনক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাংলাদেশে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যা বঙ্গবন্ধু চেয়ে ছিলেন।
ফাতেমা-তুজ-জোহরা লিমা বলেন, বাংলাদেশে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার, রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার, সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ই এন রুমা,বি-বাড়িয়া থেকে আইডিয়াল কিডস কেয়ার স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বায়েজিদা ফারজানা,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবুল হাসনাত ইরফান, ও যশোর থেকে নুর এ আলম জাহিদ