বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। বিদেশিদের কাছে হাত পেতে নয়, মাথা উঁচু করে বাংলাদেশ চলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশে আর দারিদ্র থাকবে না। এখন আর কাউকে খাবারের জন্য হাহাকার করতে হয় না।
তিনি বলেন, করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। বাংলাদেশেও এর থেকে দূরে নয়। তাই আমাদের জমি ও জলাশয়গুলো যেন খালি না থাকে। যাই খালি আছে, সব জায়গা থেকেই উৎপাদন করতে হবে।
১৯৭৫ সালের পর ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত এই ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা কেন বাংলাদেশের উন্নতি করতে পারেনি? এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করতে পারেনি। তারা মানুষের ভাগ্য বদলাতে চায়নি। নিজেরা ভোগ বিলাসে ব্যস্ত ছিল।।
তিনি বলেন, আজকে চট্টগ্রামের সঙ্গে কথা বলছি, অনেক নেতা আমাদের মাঝে নাই। আমাদের প্রয়াত নেতারা মুক্তিযুদ্ধে বিরাট অবদার রেখেছেন। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, এক টাকাও রির্জাভ ছিল না। খাদ্য ছিল না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তিন বার ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতা এনেছিল বলে আমরা সার্বিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলকে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। সেই সময় জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সে সময় পরিচয় দিতেই ভয় পেতেন।
উদযাপন উপলক্ষে টানেল এলাকায় সকাল থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। আশপাশের অনেক এলাকা থেকে তারা অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন। যদিও আমন্ত্রিতদের ছাড়া কাউকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শুরুর আধঘণ্টা আগে থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা আসা শুরু করেন। দুই হাজার অতিথির উপস্থিতিতে বিপুল করতালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এসময় পতেঙ্গা প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিন মিং, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।