আজ শনিবার,২এপ্রিল,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২৪২তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. জেবউননেছা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিজা জেরিন তাসনীম ।
সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু তাঁর সহকর্মীদের ভালোবাসতেন পরম মমতায়।
ড. জেবউননেছা বলেন,দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের বৃক্ষসম্পদের যে ক্ষতি হয়েছিল তা থেকে উত্তরণের জন্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা দেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান চালু করেন।বাংলাদেশের বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব উপলব্ধি করে এদের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন ১৯৭৪ সালে।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাপানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে শীর্ষ পর্যায়ের প্রথম সফরের সময় বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি হয়।
বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান বলেন,সবার ভেতরে একটা ধর্মনিরপেক্ষ মন না থাকলে বাংলাদেশকে একটা জাতিরাষ্ট্রের রূপ দেয়া যাবে না।
দিপু সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্ববরেণ্য মহান নেতা। তাঁর কোনো তুলনা হয় না। তিনি জন্মেছিলেন বলেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি যদি না জন্মাতেন, আমরা আজও পাকিস্তানের দাসত্বের নিগড়ে আবদ্ধ থাকতাম।
সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার এবং রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার।