আজ মঙ্গলবার,১২এপ্রিল,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২৫২তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ভারতের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ফেলো ড.তানভীর ফিত্তীণ আবীর,ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ-জোহরা লিমা।
সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বরাবর লক্ষ্যে অবিচল থাকতেন।
সভায় বক্তারা বলেন,বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত বাকশাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করার আগেই বাংলাদেশে ঘটে গেছে ১৫ই আগস্টের রক্তাক্ত প্রতিবিপ্লব। এর ফলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠার যে নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল তা থেকে বঞ্চিত হয়। বঙ্গবন্ধু যদি তাঁর সামগ্রিক পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ পেতেন তাহলে দেশের অর্থনীতি, সমাজ, প্রশাসন, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে শুধু উন্নয়নশীল নয়, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবেও কয়েকবছরের মধ্যে গড়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিলো।বক্তারা আরো বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরদিন এ দেশের মানুষের অন্তরে বেঁচে থাকবেন মুক্তির কান্ডারি হিসেবে। বেঁচে থাকতেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন কিংবদন্তি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুম আব্দুল্লাহ ।
সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার এবং রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার।