আজ রবিবার,৩এপ্রিল,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২৪৩তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও খুলনা থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল শিক্ষিকা লুৎফা বেগম।
সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন,বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করতে।তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু অন্যায়ের কাছে কখনো নতি স্বীকার করেননি।
আর্জিনা খানম বলেন, শিক্ষার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল বঙ্গবন্ধুর। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনের সময়েও তিনি কার্যকরী সার্বজনিন শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান বলেন,আজ ঐতিহাসিক ৩ এপ্রিল, ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সনের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছিলেন “দশ দিনের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন, অন্যথায় মিশন বন্ধ করুন।”তিনি আরো বলেন, পরের দিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এটা সম্ভব হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্বের গুণেই।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, স্বাধীনতার পর ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। প্রাথমিক শিক্ষা সরকারিকরণ, সংবিধানে শিক্ষা বাধ্যতামূলক, শিক্ষা কমিশন,বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্ত্বশাসন প্রদান এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়িত করেছেন।আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে জনমুখী ও সম্প্রসারণ করতে কোনো কৃপণতা করেননি। সেই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। ।
বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান বলেন,সবার ভেতরে একটা ধর্মনিরপেক্ষ মন না থাকলে বাংলাদেশকে একটা জাতিরাষ্ট্রের রূপ দেয়া যাবে না।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন,বঙ্গবন্ধু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। তার শিক্ষা দর্শন আমাদের মুক্তির পথকে সুগম করেছে।
লুৎফা বেগম বলেন,বঙ্গবন্ধু দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে চেয়েছিলেন। বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা বিস্তার ও নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের একটি আইন প্রণয়ন করেন।
দিপু সিদ্দিকী বলেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নতি যে সম্ভব নয়, তা অনুধাবন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাই তিনি একটি শিক্ষিত জাতির স্বপ্ন দেখেছিলেন।শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে গড়ে তুলেছিলেন শিক্ষা ব্যবস্থা।
সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।