শুধু স্লোগান বা মুখে নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হৃদয়ে ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
দীপু মনি বলেন, আমরা অনেক সময় স্লোগান নির্ভর থাকি। অনেক স্লোগানেই হয়তো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কথা বলি। কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। সেটা অনেক বেশি জরুরি, স্লোগানে বলার চাইতে অনেক বেশি জরুরি।
তিনি বলেন, স্লোগান কখনও কখনও খুব জরুরি, খুব শক্তিশালী এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই স্লোগান যেন হয় হৃদয় থেকে উচ্চারিত। সেজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হৃদয়ে ধারণ করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত যে আমরা এ বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়ে তুলবো যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম, নতুন যত প্রজন্ম আসবে তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শকে ধারণ করবে এবং সত্যিকারের বাঙালি হবে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা তো একেবারেই পথ হারানো পথিক ছিলাম। শুধু তাই নয়, আমরা উল্টো পথে হেঁটেছি। সেই পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সেখানে নিষিদ্ধ ছিল, বঙ্গবন্ধু নামটি নিষিদ্ধ ছিল, জয় বাংলা নিষিদ্ধ ছিল, ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ ছিল। সেই জায়গা থেকে আজকে আমরা আমাদের নতুন প্রজন্ম জয় বাংলা ধ্বনি দিচ্ছে। আজকে আমাদের নতুন প্রজন্ম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করে। আজকে আমাদের নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে চিনতে শিখেছে।
দীপু মনি বলেন, আমরা এগিয়েছি বহুদূর। এ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটি বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জনকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মন্তরে, এ শ্রেষ্ঠ অর্জনকে আমরা ধরে রাখতে পারি। তার যে চেতনা সেটাকে যেন আমরা ধরে রাখতে পারি। সেজন্যই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থীর মনের মধ্যে এটিকে ঢুকিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সভাপতি গাজী মো. দেলওয়ার হোসেন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল।