১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে আসার পরই বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন পূর্ণতা পায় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় এলেও আমরা সেদিন মুক্তি পাইনি। আমরা মুক্তি পেয়েছিলাম ১৭ ডিসেম্বর, আর জাতির পিতা ৮ জানুয়ারি। ১০ জানুয়ারি জাতির জনক ফিরে আসার পরই বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জন পূর্ণতা পায়।
তিনি বলেন, ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়, নাহলে ভুট্টোরই পতন হতো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তি পেয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের (পরিবারের) কাছে আসেননি, বাংলার মাটিতে ফিরে বঙ্গবন্ধু ফিরে যান তার মানুষের কাছে, রেসকোর্স ময়দান। লাখো জনতার সামনে তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন কীভাবে, কী নীতি আদর্শে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ চলবে। রূপরেখা দিয়েছিলেন দেশ গড়ার।
১০ জানুয়ারি তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চান, বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
তিনি বলেন, খুব আশা ছিল তিনি দেশকে গড়ে তুলবেন। ১০ জানুয়ারি তিনি যে কথাগুলো বলেছিলেন, একে একে সবই করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসে সংবিধান দেন আমাদের। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে কেউ এতো দ্রুত গড়ে তুলতে পারে, এ নজির বোধহয় কেউ দেখাতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কেবল বঙ্গবন্ধুর আমলেই ৯ শতাংশের বেশি হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজের হাতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই স্বাধীন সার্বভৌম দেশের উপযোগী করে বঙ্গবন্ধু গড়ে তুলেছিলেন। সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর কয়েকটা বছর সুযোগ পেলে স্বাধীনতার ১০ বছরেই বাংলাদেশ হতো উন্নত দেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্য! স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।