আজ শনিবার,৬ আগস্ট,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৬৮তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, চীনে নিযুক্ত সম্মানিত কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম।
এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডিডি এবং পিএইচডি ফেলো মো.মাজহারুল আনোয়ার, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, যশোর থেকে নূর এ আলম জাহিদ ও কুমিল্লার চান্দিনা থেকে জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম
এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ’র অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কনসাল জেনারেল এএফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন,বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। আমাদের অস্তিত্বের নাম বাংলাদেশ; আমাদের অহঙ্কারের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- যাঁর সাহসী নেতৃত্বে একদিন বাঙালিরা জেগে উঠেছিল, পেয়েছিল মুক্তপথের দিশা। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু মৃত্যুকে হাসিমুখে জয় করতে পেরেছিলেন বলেই মৃত্যুসম দুর্যোগেও সবসময় অটল ছিলেন।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,বঙ্গবন্ধুর মত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যুগে যুগে একবারই জন্মায়।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ।
আব্দুস সাত্তার দুলাল, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বাঙালি জাতির এই মহান পুরুষ বঙ্গবন্ধু জীবনের প্রতিক্ষণে চেয়েছেন বাঙালির মুক্তি।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিপীড়িত মানুষের মুক্তিদাতা।
গবেষক মাজহারুল আনোয়ার, বঙ্গবন্ধু চর্চা সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গবেষক ফারহানা আক্তার,বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা নিয়ে তার ধারাবাহিক আলোচনা সপ্তম পর্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কুদরত ই খুদা শিক্ষানীতি একটি পূর্ণাঙ্গ এবং সুষম শিক্ষানীতি যেখানে শিক্ষার মূল আদর্শ ও নীতি পরিপূর্ণ ভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যে, শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর নীতি এবং আদর্শকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ২০০৯-১০ এবং ২০২২-২৩ এ প্রণীত শিক্ষানীতি বঙ্গবন্ধুর আমলে প্রণীত শিক্ষানীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। প্রকৃত আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষানীতি আমাদেরকে অনুসরণ করতে হবে।
আর্জিনা খানম বলেন, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে জাতি কখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনা। বঙ্গবন্ধু সবসময় মূল্যবোধ এবং নৈতিকতাকে প্রাধান্য দিতেন।
কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, একটি জাতিকে দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ করা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, দেশপ্রেমী নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, লিও জান্নাতুল ফেরদৌস তিথি ও রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার।
You sent