২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা নারী ধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের জায়গা জমি দখল, হত্যাসহ নানা অপকর্মে মেতে ওঠে।নির্বাচন সবে মাত্র শেষ। জয়ী হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা রানী শীল। পূর্ণিমা সেই রাতে বাড়িতেই ছিল। সদ্য বিজয়ী স্থানীয় নেতারা হামলা করে মায়ের সামনেই ধর্ষণ করলো তাকে ।
এত মানুষ দেখে পূর্ণিমার মা বলেছিলো বাবারা, আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, আমার মেয়ে মরে যাবে।আসলেও তাই, ওতটুকু মেয়ে, ১০-১২ জনের এক দল যদি পালাক্রমে ধর্ষণ করে, তবে মেয়ের বাঁচার আশা নিয়েই শঙ্কা করতে হয়। অসহায় বাবা দেখলো মেয়ের ধর্ষণ, মা আকুতি করলো। ধর্ষিতা পূর্ণিমা অবশ্য সে রাতে মরেনি। ধর্ষণের গ্লানি নিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়েছে।আওয়ামী কর্মী ছবি রানী। বাড়ি বাগেরহাটের রামপালে। ২০০২ সালের ২১ অগাস্ট তৎকালীন জোট বাহিনীর ক্যাডার দ্বারা বিএনপি অফিসে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি।ধর্ষকরা ধর্ষণ করে ছবি রানীর গোপন অঙ্গে মরিচের গুড়া, বালি আর কাচের গুড়া ঢুকিয়ে দেয়। ছবি রানী যখন ধর্ষিত হচ্ছিল তখন পাশের দোকানে পুলিশ সিগারেট খাচ্ছিলো। তার চিৎকারে সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, পুলিশ ও সেদিন ফিরেও তাকায়নি ।গৌরনদী-আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী বিজয়ের পাশবিক উল্লাস, প্রশাসন নীরব।
অষ্টম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের আগেই বরিশালের গৌরনদী আগৈলঝাড়ায় যে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও সন্ত্রাস শুরু হয়, নির্বাচনের পর তা আরো বেড়ে গেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৫০টি।২০০১ সালের ৬ অক্টোবর বিএনপি ক্যাডাররা উজিরপুরে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে।গণধর্ষণের প্রচুর অভিযোগ পাওয়া গেছে সেদিন।একই দিনে বিএনপির নেতারা সাতক্ষীরায় হিন্দু তরুণীকে ধর্ষন করে। এখানে শেষ নয় এই রকম হাজার হাজার মেয়েকে ধর্ষন করে বিএনপি জামায়াতের ক্যাডার রা।অধিকাংশ ভুক্তভোগীরা ভয়ে কোন অভিযোগ পর্যন্ত করেনি। প্রায় প্রতিটি পরিবারে লোকলজ্জা ও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে মহিলারা ধর্ষিত হওয়ার পরও আইনের আশ্রয় নেয়নি বা বিষয়গুলো গোপন রেখেছেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানলেও বা অনুমান করলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অনেক ক্ষেত্রেই তা স্বীকার করেনি।অনেকে নির্যাতনের পর এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন; কেউ বা দেশ ত্যাগ করেছেন।এমন অসংখ্য ঘটনার কয়েকটি মাত্র ঘটনা তুলে ধরলাম। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধ কঠোরভাবে দমনের জন্য সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রণয়ন করে।বর্তমানে কোনো ব্যক্তি কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করলে তাহলে তাকে যাবজ্জীবন বা মৃত্যু দণ্ডে দণ্ডিত হবে।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষনা দিয়েছিলেন যেখানে রেহাই পাই নাই দলের অনেক নেতা-কর্মীরাও।অপরাধী যেই হোক তাকে কখন ও ছাড় দেন নাই প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের একটি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০১ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ৬১০০ টি।
এবং ২০০৮ হতে ২০২২ এর জানুয়ারি পর্যন্ত ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ৮৬০০ টি।এই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে ২০০২ ও ২০০৩ সালে।দুই বছরে ৩০৫০টি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানায়,২০০১ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।তখন যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের নেতা-কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ধর্ষন করেছে।বর্তমানে সরকার কঠোর আইন করায় ধর্ষনের হার কমেছে।এবং সামাজিক ভাবে প্রতিটা জনগণ যদি সচেতন হয় ধর্ষনের হার আর ও কমে যাবে।