বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সীমিত আয়ের বহু মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সৌদি সরকার।
ঢাকার সৌদি দূতাবাস সূত্র জানায়, ২০১৬ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্য, পানি ও পরিবেশগত স্যানিটেশন, খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা, আশ্রয়, অ-খাদ্য সামগ্রী এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে ৫০টিরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্রের বাংলাদেশে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোতে অন্তর্ভুক্ত ছিল অন্ধত্ব ও সংশ্লিষ্ট রোগগুলি প্রতিরোধে ১৪টিরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন। যার মাধ্যমে মোট প্রায় ৫০ হাজার লোক উপকৃত হয়েছেন। এসব প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার ৯৩ টন খেজুর দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চারটি প্রকল্প নিরাপদ খাদ্য বিতরণের অন্তর্ভুক্ত রমজান ফুড প্যাকেজও ছিল। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে তিন লাখ ৮৭ হাজার ৫২৬ জনের বেশি মানুষকে স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চিকিৎসা যন্ত্র, সরবরাহ এবং টিকাদান থেকে মোট তিন মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছে।
এসব প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১৫টি প্রকল্প ছিল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য। এর মধ্যে ছিল আশ্রয়ের ব্যাগ, নিরাপদ পানির উৎসের সুব্যবস্থা, মৌলিক জীবন রক্ষাকারী সহায়তা, খাবারের ঝুড়ি বিতরণ, হাসপাতাল নির্মাণ প্রস্তুতি, আশ্রয়কেন্দ্র পুনর্বাসন এবং নির্মাণসামগ্রী। এতে মোট ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৩ রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় লোক উপকৃত হয়েছে। অন্ধত্ব এবং দৃষ্টি সংশ্লিষ্ট রোগের প্রকোপ রোধে দ্বিতীয় স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসা প্রকল্পটি বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলায় ২০২২ সালের ২-১৪ জুন বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে তিন হাজার ৬১৮ জন চোখের রোগী উপকৃত হয়েছেন। উক্ত প্রকল্পের আওতায় ৫০২টি ছানি অপারেশন, এক হাজার ১৬২টি চশমা বিতরণ এবং চোখের ড্রপ ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এটি উল্লেখযোগ্য যে নীলফামারী শহরে প্রথম প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়, যেখানে ৫ হাজার ১৫৯ জনের চোখ পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ৪২৪টি ছানি অপসারণের জন্য অপারেশন করা হয়। ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে এক হাজার ৬১৬টি চশমা বিতরণ করা হয়।
বাদশাহ সালমান মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ কেন্দ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অন্ধত্ব এবং দৃষ্টি সংশ্লিষ্ট রোগের প্রকোপ কমানোর লক্ষ্যে আরও চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়েও বিবেচনা করছে। বন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশি জনগণের জরুরি প্রয়োজন এবং স্বল্প আয়ের সহায়তার জন্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।