সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে ফরমেটের জন্য অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তামিম ইকবাল দায়িত্ব ছাড়ার পর এই ফরম্যাটে দ্বিতীয় দফায় টাইগারদের দায়িত্ব পেলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
শুক্রবার দুপুরে গুলশানে বিশ্বসেরা তারকা অলরাউন্ডারকে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা দেয়া দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, তামিম ইকবাল ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর গত কয়েক দিন ধরে আলোচনায় বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের অধিনায়কত্বের বিষয়টি। আলোচনায় ছিলেন সাকিব, লিটন এবং মেহদী হাসান মিরাজ। তবে শেষমেশ সাকিবের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে তাকেই অধিনায়ক ঘোষণা করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
এর আগে গত ৩ আগস্ট বিসিবি সভাপতি পাপনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওয়ানডে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল। একই সঙ্গে এশিয়া কাপে না খেলারও সিদ্ধান্ত জানান তিনি।
এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি বিন মোত্তর্জার সহ-অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। প্রথম টেস্টে মাশরাফি ইনজুরিতে পড়ায় সাকিবকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়। সেবারই ছিল নেতা সাকিবের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেখানে নিজেকে প্রমাণ করায় পরের সিরিজেই তাকে ভারমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দেয় বিসিবি। প্রথম দফায় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রায় দুই বছর।
তবে ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরের পর অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় এই অলরাউন্ডারকে। এর ৬ বছর পর ২০১৭ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেলে টি-২০ ফরম্যাট দিয়ে আবারো নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। একই বছরে মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো সাদা পোশাকের অধিনায়কের দায়িত্বও পান সাকিব।
এরপর ২০১৯ সালে আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দ্বিতীয় দফায় নেতৃত্ব হারান তিনি। এরপর ২০২২ সালের জুনে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে আবারো দলের নেতৃত্বে ফেরেন সাকিব। মাস কয়েক পরেই টি-২০ ফরম্যাটে নেতৃত্ব ফিরে পান তিনি। এবার পেলেন ওয়ানডের অধিনায়কত্ব। তাতে প্রায় এক যুগ পর আবারো তিন ফরম্যাটে সাকিবের নেতৃত্বে খেলবে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, সাদা পোশাকে তিন দফায় ১৯ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে ৪ জয়ের বিপরীতে ১৫ টেস্টে হেরেছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে দুই দফায় ৫০ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। যেখানে ২৩ জয়ের বিপরীতে ২৬ হার। বাকি একটি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি। আর টি-টোয়েন্টিতে তিন দফায় সাকিবের নেতৃত্বে ৩৯ বার মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে ২৩ হারের বিপরীতে ১৬ বার হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।