বাংলাদেশে প্রকৃত, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার বাস্তবায়ন দেখতে চায় তারা।
ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে শুক্রবার এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এসব কথা বলেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকার অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমরা এই চাওয়াকে স্বাগত জানাই। তবে এসব কথা ও কাজের মধ্যে মিল আছে কিনা- তা পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
নেড প্রাইস আরও বলেন, একটি নির্বাচন যেভাবে হওয়া প্রয়োজন, ঠিক সেভাবেই আয়োজন করতে বাংলাদেশ সরকার কিভাবে কাজ করবে তা বুঝতে আমাদের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত থাকবে। এই নির্বাচন হতে হবে প্রকৃত, স্বচ্ছ এবং শান্তিপূর্ণ। যদিও নির্বাচনের এখনো আরও অনেক দিন বাকি। কিন্তু একটি প্রকৃত নির্বাচনি কার্যক্রম সফল করতে বাংলাদেশের গঠনমূলক উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করছি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও মুক্তমত প্রকাশকারীদের ওপর সহিংসতা হয়রানি এবং ভীতি প্রদর্শনের বিষয়গুলো লক্ষ্য করছে ও সরকারের কাছে নিজের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছে।
পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন নেড প্রাইস। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের রাষ্ট্রদূত অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি কেবল যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রতিনিধিত্ব করছেন না বরং আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে নিরলস ভূমিকা রাখছেন। ভবিষ্যতেও তার এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।