তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিশ্বের বিভিন্ন আর্কাইভে সংরক্ষিত রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে রেডঅরেঞ্জ একটি।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। কিন্তু তারা জানতো না যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিশ্বের বিভিন্ন আর্কাইভেও সংরক্ষিত রয়েছে, রেডঅরেঞ্জ এই আর্কাইভগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের কাছ থেকে পাওয়া ফুটেজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের নজীর সংরক্ষণে সহায়ক হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংস্থা রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনের মধ্যে সোমবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। হেগে’র বাংলাদেশ হাইকমিশন আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ‘স্বদেশ ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংরক্ষণাগার শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের এবং বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে নিপীড়ন থেকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রাম সম্পর্কিত উচ্চমানের ফুটেজ সংগ্রহ করবে। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ডকুমেন্টারি এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল সামগ্রীর অ-বাণিজ্যিক নির্মাণের জন্য এসব ফুটেজ ব্যবহার করবে।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রকল্প পরিচালক ড. মোফাকখারুল ইকবাল এবং রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস অ্যাডভাইজার রুটগার-জ্যান শোয়েন নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং হেগে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারাবিশ্ব থেকে মূল্যবান ফুটেজ সংগ্রহ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে।
রেড অরেঞ্জের রুটগার-জ্যান শোয়েন বলেন, ‘এই সমঝোতার মাধ্যমে রেডঅরেঞ্জ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত আর্কাইভ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহে সহায়তা করবে। রেডঅরেঞ্জের জন্য এটা সম্মানের বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর একটিতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমরা ড. মোফাকখারুল ইকবাল এবং তার দলের কাছে কৃতজ্ঞ এই জন্য যে এই উদ্যোগের অংশ হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান জানানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় অবদান রাখব। বাসস