মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: বান্দরবান জেলা সদরের পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে,বনরুপা পাড়ায় শাহ্ জব্বারিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।২৫শে মার্চ শুক্রবার মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সকাল ৯ টায় অনুষ্ঠানের প্রথমিক পর্যায়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ৫ জনকে কোরআন ও ৪জনকে আমপারা প্রদানের ছবক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় পরে সকাল ১১ টায় মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শাহ জব্বারিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল মন্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শাহ জব্বারিয় তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুল আওয়াল।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর। বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য, রোটারী ক্লাব বান্দরবান এর প্রেসিডেন্ট মোঃ মহিউদ্দিন, ব্যাবসায়ি রফিকুল ইসলাম, মাদ্রাসার সাধরন সম্পাদক হারুনুর রশিদ,নবনরূপা মসজিদের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সহ অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই এই জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করে, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মান এবং প্রশারে ব্যাপক কাজ করেছেন এবং এই ধারা অব্যাহত আছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মসজিদ ভিত্তিক ইসলামিক শিক্ষার ব্যাবস্থা করেছে যাতে সকলেই ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে অধিকার লাভ করতে পারে,মসজিদ ভিত্তিক ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষকদের সম্মানীর ব্যবস্থা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ মহিউদ্দিন বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইসলামিক শিক্ষার প্রসারে নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন, সারাদেশে ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণ এর একটি বড় দৃষ্টান্ত, তিনি আরো বলেন ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলার বিকল্প নাই। সভাপতির বক্তব্যে আবদুল মান্নান বলেন, বর্তমানে প্রাথমিক বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষার পাশা-পাশি প্রত্যেককেই ধর্মীয় শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,এরই প্রেক্ষিতে শাহ জব্বারিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা অত্র মাদ্রাসায় সরকারি পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি ইসলামিক শিক্ষার প্রতি বিশেষ জোর দিয়েছে। শিশু কিশোরদের মানুষিক বিকাশে পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন তার সঠিক বেড়ে উঠার জন্য খুবই জরুরি,এরই ধারাবাহিকতায় মাদ্রাসায় প্রতি বছর সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কারী প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এবং মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী অবিভাবকদের ও শিক্ষকদেরকে মাঝেও বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।