ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাতের আঁধারে জিরানী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল একের পর এক দোকান জনপ্রশাসন সচিব হলেন এহছানুল মরহুম তোফাজ্জল হোসেন স্মৃতি মিনি বার ফুটবল টুর্নামেন্ট–২০২৫, দ্বিতীয় দিনের খেলায় দি রয়েল ক্লাবের দাপুটে জয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া শিশু হুযাইফা (৯) মরদেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার আসাল মিশিগান চ্যাপ্টারের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি-নাইম লিয়ন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক- মিনহাজ রাসেল ‘মুক্তমঞ্চ’-এর কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত জামালপুরের শিহাব সৌদি আরব প্রবাসী শাহরাস্তি ফোরামের পক্ষ থেকে এসপিএলের উদ্যোক্তা মিঠুকে সংবর্ধনা রূপ রেখা লালন একাডেমীর ২০ বছর পূর্তি উদযাপন কাপ্তাইয়ে মরহুম তোফাজ্জল হোসেন স্মৃতি মিনি বার ফুটবল টুর্নামেন্ট–২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন

বাবার ‘আদেশে’ এক ভাইয়ের চোখ তুলে নিলেন অপর দুই ভাই

সাংবাদিক

বরিশালের মুলাদীতে গচ্ছিত রাখা টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাওয়ায় বাবার আদেশে দুই ভাই মিলে এক ভাইয়ের দুই চোখ তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের আশেদ ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রিপন বেপারী (৩৬) আশেদ ব্যাপারীর সেজো ছেলে। মেজো ছেলে রোকন ব্যাপারী ও ছোট ছেলে স্বপন ব্যাপারী মিলে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে।

রিপন বেপারীর ছেলে আব্দুর রহমান জানান, তার বাবা, চাচা রোকন ব্যাপারীর কাছে গচ্ছিত রাখা ৩৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত চেয়েছিলেন। এ কারণে তারা তাকে মারধর করে চোখ উপড়ে ফেলেছে।

মুলাদী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাই মিলে রিপন ব্যাপারী নামে একজনের দুই চোখ উপড়ে নিয়েছে।

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহত রিপনকে উদ্ধার করে গৌরনদীর আশুকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠান চিকিৎসক। অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটের ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

ছেলে আব্দুর রহমান জানান, মঙ্গলবার তার বাবা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তিনি মেজো ভাই রোকন ব্যাপারীর কাছে টাকা চান। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাত ১১টার দিকে রিপন বাড়ি ফিরলে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দাদা আশেদ ব্যাপারী ক্ষিপ্ত হয়ে রিপনকে মারধর করে চোখ তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। বাবার নির্দেশ পেয়ে রোকন ও স্বপন মিলে রিপনকে মারধর করে এবং দুই চোখ সমূলে উৎপাটন করে তার বাবার হাতে তুলে দেন।

রিপনের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। অপরদিকে আশেদ ব্যাপারী, রোকন ও স্বপন ব্যাপারী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০১:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
৭৪৪ Time View

বাবার ‘আদেশে’ এক ভাইয়ের চোখ তুলে নিলেন অপর দুই ভাই

আপডেটের সময় : ০১:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

বরিশালের মুলাদীতে গচ্ছিত রাখা টাকা ও স্বর্ণালংকার ফেরত চাওয়ায় বাবার আদেশে দুই ভাই মিলে এক ভাইয়ের দুই চোখ তুলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সাহেবেরচর গ্রামের আশেদ ব্যাপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী রিপন বেপারী (৩৬) আশেদ ব্যাপারীর সেজো ছেলে। মেজো ছেলে রোকন ব্যাপারী ও ছোট ছেলে স্বপন ব্যাপারী মিলে তার দুই চোখ উপড়ে ফেলেছে।

রিপন বেপারীর ছেলে আব্দুর রহমান জানান, তার বাবা, চাচা রোকন ব্যাপারীর কাছে গচ্ছিত রাখা ৩৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ফেরত চেয়েছিলেন। এ কারণে তারা তাকে মারধর করে চোখ উপড়ে ফেলেছে।

মুলাদী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দুই ভাই মিলে রিপন ব্যাপারী নামে একজনের দুই চোখ উপড়ে নিয়েছে।

ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহত রিপনকে উদ্ধার করে গৌরনদীর আশুকাঠি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠান চিকিৎসক। অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটের ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

ছেলে আব্দুর রহমান জানান, মঙ্গলবার তার বাবা ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তিনি মেজো ভাই রোকন ব্যাপারীর কাছে টাকা চান। কিন্তু তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাত ১১টার দিকে রিপন বাড়ি ফিরলে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দাদা আশেদ ব্যাপারী ক্ষিপ্ত হয়ে রিপনকে মারধর করে চোখ তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। বাবার নির্দেশ পেয়ে রোকন ও স্বপন মিলে রিপনকে মারধর করে এবং দুই চোখ সমূলে উৎপাটন করে তার বাবার হাতে তুলে দেন।

রিপনের ডাকচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। অপরদিকে আশেদ ব্যাপারী, রোকন ও স্বপন ব্যাপারী বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।