শেখ ইব্রাহিম:-ঢাকা জেলার দোহার থানার কুসুমহাটি ইউনিয়ন পরিষদের বাবুরডাংগী বাইতুচছালাত জামে মসজিের দানবক্সের টাকা চুরি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বার রাত ৩টার দিকে এলাকার কাচারিঘাট -কাত্তিকপুর সড়কের পাশে অবস্থিত মসজিদের দানবক্স চুরির এই ঘটনা ঘটে।
বাবুরডাংগী বাইতুচছালাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি আসলাম হুসাইন ফরিদী বলেন, এশার নামাজের পর অজুখানার লাইট সারারাত জালানো ছিলো ; ফজরের আজান দিতে মসজিদে আসার পর ওজুখানার লাইট বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর সে লক্ষ্য করেন মসজিদের দানবক্সের তালা ভাংগা।
বাবুরডাংগী জামে মসজিদের একটি সিন্দুকের বড় দান বাক্সের সকল টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বার রাত ৩টার (৩:৫২) দিকে এ ঘটনা ঘটে৷ যা সিসি টিভির ফুটেসে দেখা যায়। পরে বাবুরডাংগী চকে কবরস্থানের ওইপাশে কলাবাগান খেতে সিন্দুকের বড় দান বাক্সে পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা। সিসি টিভি ফুটেস থেকে চোর চক্রকে সনাক্তে চেষ্টা করছে বলে জানান ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা।
এই বিষয়ে, মুসুল্লীরা সিসি টিভি ফুটেস দেখে এক জনকে সন্দেহ করেন৷ কিন্তু মসজিদ কমিটি এখনো নাম প্রকাশ করেনি। চুরির বিষয় নিয়ে জামে মসজিদের সভাপতি( মুসলেম খান) জানান, যে এই কাজ করেছে তাকে ৭ দিন সময় দেওয়া হলো এর মধ্যে সে যদি নিজ থেকে দোষ শিকার করেন তাহলে তাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখা হবে যা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হবে।
সিসি টিভি ফোটাস ফাঁস হওয়ার পর চুরি হওয়ার পর দিনে মসজিদে ৪৬২২ টাকা পান বাবুরডাংগী বাইতুচছালাত জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার ( মোঃ খোরশেদ) এই দানবক্সের গত বার যখন খোলা হয় তখন ৪০-৫০( প্রায়) হাজার টাকার উপরে পাওয়া যায় বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী এবং সভাপতি । এই বার দুই (২) বছর পর দান দানবক্সে খোলা হয়নি৷ সেই হিসাবে তারা মুসুল্লীরাের দাবি এই বার ৫০ হাজার এর অধিক টাকা জমা হওয়ার কথা।
এই বিষয় সরাসরি এলাকার মেম্বার (শাহ্ শপন) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান তাকে এই ঘটনা মসজিদ কমিটি থেকে জানানো হয়নি৷ বিষয়টি কুসুমহাটি চেয়ারম্যানের ( কাদের মন্ডল ) সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানান তাকেও এই বিষয়ে তাকেও অবগত করা হয়নি৷
এত বড় বিষয়টি ঘটার পর কোন ধরনের অভিযোগ ও করা হয়নি থানায়৷ কিন্তু সভাপতি জানান চোর যদি ৭ দিনের মধ্যে নিজ থেকে স্বীকার না করে তাহলে কমিটি আইনি ভাবে ব্যবস্থা নিবেন৷
মুসুল্লীরা আরো জানান, যেহেতু সিসি টিভিতে চোরকে চুরি করতে দেখা গেছে এবং চোরকে সনাক্ত করাও সম্ভব তাহলে কেনো এই বিষয়ে মেম্বার, চেয়ারম্যান এবং পুলিশকে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলো না । বিষয়টি তদন্ত করা প্রয়োজন বলে জানান ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা৷ বিষয়টি এলকার জন্য খুবই দুঃখজনক বলে জানান ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা এবং এলাকাবাসী । তারা চান সুষ্ঠু বিচার হোক।