প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা জনগণের ম্যান্ডেটকে মেনে নিতে পারে না।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। পোস্টের সঙ্গে বিএনপি সন্ত্রাসীদের অপকর্মের একটি তথ্যচিত্রও প্রকাশ করেন জয়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের রাজনীতি নতুন কিছু নয়। বারেবারে বাংলাদেশের সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি নষ্টে জোটবদ্ধভাবে আঘাত করেছে তারা। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির অপরাজনীতির শিকার সাধারণ মানুষ প্রথমবারের মতো সুযোগ পায় ঢাকা সিটি নির্বাচনে জবাব দেয়ার। আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফকে তারা বেছে নেন ঢাকার নগরপিতা হিসেবে। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীরা জনগণের সেই ম্যান্ডেটকে মেনে নিতে পারেনি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ১৯৯৪ সালে ঢাকার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করে হামলা করা হয়। যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে গঠিত বিএনপি সরকারের অধীনে ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচন হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ব্যালট বিপ্লব ঘটায় নাগরিক সমাজ, জয়ী হন মোহাম্মদ হানিফ। কিন্তু জনগণের ম্যান্ডেটকে মেনে নিতে পারে না বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। টানা তিন বছর তাদের দুঃশাসনের অতিষ্ট মানুষের ঢল নামে ঢাকা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে। সে সময় মোহাম্মদ হানিফকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করে ভোট চান দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। এরপরেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ব্যালট বিপ্লব ঘটায় নাগরিক সমাজ। জয়ী হন মোহাম্মদ হানিফ। কিন্তু জনগণের ম্যান্ডেটকে মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা ভোটারদের ওপর হামলা চালায়। এরমধ্যে দিয়ে তারা গণমানুষের গণতন্ত্রের ওপর হিংস্র থাবা বসায়। সে সময় ৩১ জানুয়ারি লালবাগে আওয়ামী লীগের বিজয় মিছিলে হামলা চালানো হয়। এতে প্রাণ হারান সাত জন, আহত হন শতাধিক। এদের মধ্যে ২৩ জন চিকিৎসা নিয়ে প্রাণে বাঁচলেও সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যান।