আওয়ামী লীগ দাওয়াত পেয়ে দূতাবাসে যায়। আর বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমেরিকার দূতাবাসে যান নালিশ করতে। দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করার রাজনীতি আওয়ামী লীগ করে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, জাতিসংঘে গিয়ে সংস্থাটির মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তৃতীয় সারির লোকদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন সিক্স আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালুর বিষয়ে এক ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্ন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এত কথা বলে। বিএনপি নেতারা কি জানেন তাদের দলের অনেকে নির্বাচনের জন্য তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে অনেক দল প্রস্তুত। বিএনপি অংশ নেবে না বলে অন্যরা বয়কট করবে- এ কথা মনে করলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারদের কম আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন বেশি দূরে নয়। সাম্প্রতিক সিটি নির্বাচনে গাজীপুরে ৫০ শতাংশ এবং বরিশাল ও খুলনায় ৪০-৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাহলে কী করে কম বলছেন? পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ৩০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতিও হয় না। এখন এসব কথা বলে লাভ নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বৈঠকের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে কি না- এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কারও দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা তাকিয়ে আছি বাংলাদেশের জনগণের দিকে। বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না। তারা উন্নয়ন সহযোগী হতে পারে। কিন্তু ক্ষমতায় বসাবে- এমন উদ্ভট চিন্তা করি না।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহাইড ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।