শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ঘটনা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। যাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় অর্জন হয়েছে, বিজয়ের মাসে সেসব লাখো শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাবে বাঙালি জাতি।
প্রতি বছরের মতো এবারও বিজয়ের মাস নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করবে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ৯ মাসের সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বপ্নসাধ পূরণ হয় ১৬ ডিসেম্বর।
স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য-খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয়ের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।
বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হওয়ার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এ অর্জন হওয়ায়— বেদনাবিধুর এক শোকগাঁথার মাসও এ ডিসেম্বর।
এ মাসেই দেশের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস ঘটনা ঘটে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করতে ১৪ ডিসেম্বর দেশের অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
বিজয়ের মাস উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ১ ডিসেম্বর দলটি পতাকা মিছিল করবে।