রাশিয়া কিংবা চীন কেউই বিশ্ব শাসন করতে চায় না বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দিমিত্রি পেসকভ রোববার রসিয়া ওয়ান টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাশিয়া এবং চীন সমগ্র বিশ্ব শাসন করতে চায় না। আমরা জানি বিশ্বের অন্য দেশগুলোর এই প্রবণতা রয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের `সব ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ’ সম্পর্কে মস্কো এবং বেইজিংয়ের মতামতের ‘পুরোপুরি মিল’ রয়েছে। উভয় দেশই ওয়াশিংটনের ‘অস্থিতিশীল আচরণ’কে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মনে করে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতাই আরও কাছাকাছি এনেছে রাশিয়া-চীনকে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কাতারে বেইজিং যোগ দেয়নি। উল্টো ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্বের ঘোষণা দিয়েছে দেশ দুটি।
সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে নিজেদের সেই সুসম্পর্কই আরও ঝালিয়ে নিয়েছে মস্কো-বেইজিং। গত বৃহস্পতিবার সম্মেলনের প্রথম দিনেই একান্ত বৈঠকে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকে শি পুতিনকে জানিয়েছেন, মস্কোর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক বেইজিং।
শীর্ষ সম্মেলনে শি পুতিনকে বলেন, ‘চীন রাশিয়ার সঙ্গে বৃহৎ শক্তির ভূমিকা গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। সেই সঙ্গে সামাজিক অস্থিরতায় কাঁপানো বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও ইতিবাচক শক্তি প্রয়োগ করতে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা রাখতে চায় চীন।’
পুতিনকে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা বিষয়ে চীনের সমর্থনের আশ্বাস দেন চীনা প্রেসিডেন্ট। করোনাভাইরাস মহামারির পর থেকে এটি শি’র জন্য প্রথম বিদেশ সফর।
তবে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিক গেমস উপলক্ষ্যে পুতিনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পুতিন ‘ইউনিপোলার বিশ্ব’ তৈরির ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
এ সময় তিনি ইউক্রেন বিষয়ে চীনের ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকারও প্রশংসা করেন। পুতিন বলেন, ‘আমরা এক চীনের নীতি মেনে চলি। আমরা তাইওয়ান প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের উপগ্রহের উসকানির নিন্দা জানাই।’
তিনি আশা করেন বৈশ্বিক শক্তি অর্জনে রুশ-চীনা অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে একযোগে কাজ করবেন তারা।