মুরাদ মিয়া,সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রামের নিরীহ গরীব শুক্কুর আলী ও তার সমন্ধিক আসাদ মিয়ার বসতভিটার ৮ শতক জায়গা পাশের বাড়ির ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক গংরা জোরপূর্বক দখল ও প্রাণনাশের হুমকি দামকীর প্রতিবাদে ও জায়গা উদ্ধার করে ভূমিখেকোদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ভূক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে উপজেলার চরগাঁও পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় এতে শতাধিক নারীপূরুষ অংশগ্রহন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন,চরগাঁও গ্রামের রমজান নেছা, হনুফা আ্ক্তার,আছিয়া বেগম,তুলনা বেগম,মো. আরব আলী,মো. সনু মিয়া,রবি আওয়াল,মো. মানিক মিয়া,এবাব মিয়া,আনোয়ার হোসেন,মো. আবুল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগী মো. শুক্কুর আলী,মো. আসাদ মিয়া বলেন,প্রায় একমাস পূর্বে চরগাঁও গ্রামে তাদের পৈতিক সম্পত্তি রেকর্ডিয় ১৯৭০ খতিয়ানে এবং ২৩৬৮/২৩৬৯/২৩৭০ ও ২৩৬৪ দাগে খরিদাসূত্রে দলিল মূলে মালিক হয়েও পাশের বাড়ির ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক মিয়া গংরা পেশীশক্তির জোরে তাদের উপর দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে বসতভিটার মোট ৮ শতক জায়গা দখল করে নেয়।। হামলাকারীরা নিরীহ শুক্কুর আলী ও আসাদ আলীর জায়গায় লাগানো বড় বড় ৫টি রেন্টিগাছ ও বাশঁঝাড় কেটে নেয়। এ নিয়ে গত ৩ ও ১১ই সেপ্টেম্বর দুই দফা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে দখলকৃত ৮ শতক জায়গা ফেরৎ দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে ও ভূমিখেকো মোকলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিক মিয়া আপোস নামায় স্বাক্ষর না করে উল্টো নিরীহ শুক্কুর আলী ও আসাদ মিয়া তাদের পরিবার পরিজনকে প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রাখায় পরিবারের নারীপূরুষ সদস্যরা ঘর থেকে বের হতে পারছেন বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। এদিকে মানববন্ধন চলাকালে ভিটা দখলকারী ভূমিখেকো আব্দুর বারিকের ছেলে জামাল মিয়া ও মনির হোসেন ঘটনাস্থলে এসে মানববন্ধনের ব্যানার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং অকথ্য ভাষায় তাদেরকে গালিগালাজ করে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের নিবৃত্ত করে মানববন্ধন স্থল থেকে তাদের সরিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় উল্টো গত ১৬ই আগষ্ট ভূমিখেকো মোখলেছ বাদি হয়ে একই গ্রামের মালিকপক্ষ মৃত মো. আমির চান এর নিহীর ছেলে আসাদ মিয়া,আনার মিয়া,আব্দুল মিয়া ও মৃত মিলন মিয়ার ছেলে শুক্কুর আলীকে আসামী করে আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিশ্বম্ভরপুর জোনে একটি মামলা দায়ের করেন। তারা এই ভূমিখেকোদের কবল থেকে তাদের জায়গা উদ্ধার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবী জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোখলেছ মিয়া ও আব্দুল বারিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বসতভিটা দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বম্ভরপুর থানার এস আই শংকর চন্দ্র দেব জায়গা সংক্রান্ত বিষয়টি আপোসের প্রস্তাব শুনেছি তবে আমি মারামারির মামলার প্রতিবেদন দ্রæত সময়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করার কথা জানান।