লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ বিয়ের দাবীতে ছকিনা খাতুন নামে এক তরুণী ৭দিন ধরে লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের সংকরটারী গ্রামের মৃত কামাল হোসেনের পুত্র প্রেমিক নুরুজ্জামানের বাড়িতে অনশন করছেন। ওই তরুণী একই এলাকার আলাল উদ্দিনের কন্যা।
এদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েও বিয়ে না করে প্রেমিক বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় অবশেষে গত রোববার (১৩আগষ্ট) রাতে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই তরুণী। পরে রাতেই অভিযোগ নথিভূক্ত করে থানা পুলিশ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ৩বছর আগে ছকিনার টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আঃ লতিফের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অভিযুক্ত নুরুজ্জামানের সাথে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে নুরুজ্জামান বিয়ের প্রলোভন দেখালে ছকিনা বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং স্বামী আঃ লতিফকে তালাক দেয়।
এদিকে গত ৯ আগষ্ট সন্ধ্যায় বাড়িতে একা থাকার সুযোগে নুরুজ্জামান ওই তরুণীর ঘরে প্রবেশ করে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এসময় ওই তরুণী বিয়ের আগে ঘনিষ্ঠ হতে রাজি না হলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে নুরুজ্জামান। পরে ছকিনা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে নুরুজ্জামানকে হাতে নাতে আটক করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে চলে আসে। কিন্তু ছেলের বড়ভাই নজরুল ইসলাম, মামা মনির হোসেন, চাচা নবীর হোসেন ও দাদা আমির হোসেন ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ছেলেকে নিজেদের জিম্মায় নেয়। পরে কৌশলে ছেলেকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয় তারা। অবশেষে উপায়ান্তর না পেয়ে ওই তরুণী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আদিতমারী থানা ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ভুক্তভোগী তরণী লিখিত অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।