সুশোভন সিংহ, ভারত।। শনিবার ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি ফ্ল্যাটে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ত্রিপুরার তরুণীর ৩০ টুকরো দেহ। আর এই ঘটনার জেরে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। এ বার ওড়িশা থেকে মিলল এই ঘটনার অভিযুক্তের দেহ! পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। বুধবার ওড়িশার ভদ্রক জেলায় একটি গাছ থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। তিনি নিহত তরুণীর সহকর্মী ছিলেন এবং ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুও।
ভারতের বেঙ্গালুরুতে গত শনিবার এক কামরার একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ত্রিপুরার এক তরুণীর ৩০ টুকরো দেহ। অন্তত দু’সপ্তাহ ধরে ফ্রিজের মধ্যে। পচছিল তাঁর দেহাংশ। নিহত তরুণীর নাম মহালক্ষ্মী। বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকায় একটি এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ বলেছিলেন, ‘‘সব দিক দিয়ে বিচার করে তদন্ত চালানো হচ্ছে। মূল অভিযুক্তের হদিস মিলেছে। তাঁকে গ্রেফতারির ব্যবস্থা চলছে।’’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি কর্নাটকের নয়। তবে এর থেকে বেশি তথ্য তিনি দিতে পারবেন না। কারণ, এতে সুবিধা হতে পারে ওই ব্যক্তির। এ বার মিলল সেই অভিযুক্তেরই দেহ।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবারই পান্ডিতে নিজের গ্রামে পৌঁছন অভিযুক্ত। তার পর থেকে গোটা দিন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। রাতে প্রতিবেশীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ খুঁজে পান।