ভোলা জেলা প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনে সাচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবু আলম চৌধুরী ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা,মিথ্যা মামলা,জিবন নাশের হুমকি এবং বিভিন্ন অনলাইন,স্থানীয় পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগে একই ইউনিয়নের বদরুজ্জামান বাদল,তার স্ত্রী হাবিবা ও বাহার চৌধুরীর পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাহবুবু আলম চৌধুরী।
২৩ এপ্রিল শনিবার সকাল ১০ টায় মাহবুব আলম চৌধুরীর নিজ বাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অভিযোগ করে তিনি বলেন,এলাকার ভূমি দস্যু নামে পরিচিত বাদল চৌধুরী,বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে আমার পৈতৃক সম্পত্তি,ভোগ দখলকৃত সাচড়া মৌজার জে,এল নং ৪৫ এস,এ খতিয়ান ১৬০ এর দাগ নং ৫৯৭ এর ২০.৭৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৮ শতাংশ বাড়ির অংশ যেটি জোরপূর্বক দখল করার পায়তাড়া চলছে।
তিনি জানান,বাহার ও বাদল সন্ত্রাসী ভাড়া করে গত ১৩ এপ্রিল বিকালে আমাকে,আমার ছেলে মিথেল ও পারবেজ,ছোট ভাই মনিরের ওপর ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী দা,ছেনি ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে এবং আমাদের এলোপাথাড়ি মারধর করে ।
আমাকে রক্ষার জন্য ভাতিজা এগিয়ে আসলে তাদের রক্তাক্ত করে।
এ সময় তিনি জানান,ফের গতকাল ২২ এপ্রিল শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার সময় পুনরায় তাদের ওপর আক্রমণ করা হয় এবং তার ছোট ভাই মনির কে ধাওয়া করে পুকুরে ফেলা দেওয়া হয়।
মধ্যযুগীয় কায়দায় আমার পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন যা ভাষায় ব্যক্ত করা যাবে না।
কি বলব আমি আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সভাপতি বয়স (৭০) এর ও বেশি ভালো মতো হাটতে ও পারি না,আমার ওপর এরকম জুলুম আর সইতে পারছি না,সভাপতি হয়ে ও আজ নিরুপায়।
তারা লোক ভাড়া করে রেখেছে প্রতিমুহূর্তে জীবননাশের হুমকি দেয়,বাড়ি থেকে বের হলেই মেরে ফেলবে,সামান্য বেঁচে থাকার জন্য বাজারে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে ও পারছি না।
তিনি বলেন,আমাদের ওপর হামলা করে হয়রানীর উদ্দেশ্যে আমাদের নামেই উল্টো আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বাদল ও বাহার।
এ সময় (৭০) বছরের বৃদ্ধ মাহবুব আলম চৌধুরী কেঁদে কেঁদে বলেন,১৩ এপ্রিল ভোলার স্থানীয় একটি পত্রিকা এবং ২১ এপ্রিল একটি টিভি চ্যানেলের অনলাইন আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
নিউজকে বড় করার জন্য বাদল ও বাহার চৌধুরীর বাবা নাদিরুজ্জামান কে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেখানো হয় ওই টেলিভিশনের অনলাইন পত্রিকায় কিন্তু আসলে তিনি মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেনি সে মুক্তিযুদ্ধা ও নন মূলত রাজাকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বাহার চৌধুরী সত্যতা স্বীকার করে বলেন,আমার মৃত বাবা নাদেরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা নন,ছিলেন না কখনো আমার ভাইয়ের শ্বশুর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তিনি হামলার বিষয়টি ও স্বীকার করে বলেন,আমাদের মধ্যে সেদিন হাতাহাতি হয়েছিল,আমার ক্রয়কৃত জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে ।
সাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ মৃধা জানান, কাগজে-কলমে জমির প্রকৃত মালিক মাহবুব আলম চৌধুরী। বাদল ও বাহার নামে দুই ব্যক্তি জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে এ বিষয়ে অবগত রয়েছি।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন ফকির জানান, বাদল ও বাহার চৌধুরী আদালতে যে অভিযোগ করেছেন তা তদন্তের জন্য পুলিশের টিম পাঠিয়েছি।
কিন্তু তাদের কথার সাথে ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এসময় তিনি আরো জানান, আদালত কর্তৃক ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করা হয়েছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।