(ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার হাসামদিয়া গণহত্যা দিবস পালন করা হয়। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া অবস্থিত শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজ চত্বরে স্থাপিত শহীদ স্মৃতি নামফলকে বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শহীদ পরিবারের সদস্যরা ও অত্র কলেজের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয় । এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া কলেজ মিলনায়তনে অধ্যক্ষ লিয়াকত হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাজী তারেক পারভেজের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, সাবেক সহকারি কমান্ডার কে এম জহুরুল হক, ডেপুটি কমান্ডার সৈয়দ আ. রউফ সিদ্দিকী প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সন্তান প্রফেসর দেবাশীষ সাহা, জীবন কৃষ্ণ রায়, ডা. বিধান চন্দ্রদে, মহাদেব চক্রবর্তী, বিনোদ বালা দে প্রমুখ। আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা গণহত্যায় ৩৩ জন শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৬ মে তিন শতাধিক পাকসেনার একটি বহর যশোর থেকে রেলযোগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ডিপুটি কমান্ডার শাহ মো. আবু জাফর ও তার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে আসে। তাদের না পেয়ে পাক বাহিনীর দোসর, স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় হাসামদিয়া, রামনগর, রাজাপুর, ময়েনদিয়া, রাজাবেনি, মিঠাপুর পোয়াইলসহ কয়েকটি গ্রামের ৩৩ জন নিরস্ত্র, নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় হিন্দু অধ্যুসিত এলাকায় আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। স্থানীয় ময়েনদিয়া বাজারের চালানো হয় লুটপাট। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৫০ এর অধিক দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।