ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এনবিআরে ব্যাপক রদবদল কালুখালীতে ভ্যান ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল মাছ ব্যবসায়ীর ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভোলা সদর উপজেলার পঃ ইলিশায় যুবশক্তি ছাত্র কল্যাণ সংঘের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন: মানবসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা ৩৩ ধরনের ওষুধের দাম কমলো এসেনসিয়াল ড্রাগস একদিনে দুই লাশ উদ্ধার: গৃহবধূ ও অজ্ঞাত যুবক যুক্তরাজ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন-জুয়াকের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করতে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি ইউকেএম থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন প্রধান উপদেষ্টা দেশ-বিদেশে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিই বিএনপির রাজনীতি: তারেক রহমান

ব্রিটিশ রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস

সাংবাদিক

যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে লন্ডনে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ৯ জুন লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। ওই দিন ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ দেওয়া হবে।

আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবার লন্ডনে বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা চার্লসের সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎ হতে পারে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কালবেলাকে এমনটা নিশ্চিত করেছেন।

দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, অ্যাওয়ার্ড নিতে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাচ্ছেন, এটা প্রায় চূড়ান্ত। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১০ জুন রাতে সরকারপ্রধান লন্ডন পৌঁছাবেন এবং দেশে ফিরবেন ১৩ জুন। সফরের তৃতীয় দিনে (অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের দিন) যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে তার। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন।

কূটনীতিকরা জানান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আগামী বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিসহ দেশটির কয়েকজন মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এ কর্মসূচিগুলো দু-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।

তবে সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হলে দুই দেশই নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেবে বলে জানান তারা।

সরকারের প্রতি সমর্থন বাড়াতে সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সমর্থন

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাজ্যের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপ দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ, তা এই সফরে জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের ভাবনা কী, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সবাই সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর যুক্তরাজ্যও চায় সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক। সংস্কারপ্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থন রয়েছে।

সুসাশন ও মানবাধিকার

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সুশাসন ও মানবাধিকার ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী। গেল ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্স ঢাকা সফর করেছেন। তিনি ন্যায়বিচার, জবাবদিহি, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ-সমতা এবং শ্রম অধিকার নিয়ে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আসবে তাদের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করা হবে জানা যায়।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাবে ঢাকা

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে পোশাক শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, বিমান পরিবহন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি ও পরিষেবা খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমাগত বাড়ছে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান পণ্য পোশাক ও বস্ত্র।

এ ছাড়া চিংড়ি, বাইসাইকেল ও হস্তশিল্প রপ্তানি হয়। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ লোহা ও স্ক্র্যাপ, যন্ত্রপাতি, জেনারেটর, এয়ারক্র্যাফটসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করে এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে শিল্প, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে আগ্রহ থাকবে।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার আলোচনা

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মার্চে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাজ্যের আর্থিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন, যাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

ব্রিটিশ সরকারকে বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। ফলে এ বিষয়টিও উভয় পক্ষের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে জানা যায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্যেও সমর্থন

যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের মাধ্যমে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে, যাতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
৬১৩ Time View

ব্রিটিশ রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস

আপডেটের সময় : ০৫:৪৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে লন্ডনে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ৯ জুন লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার। ওই দিন ব্রিটেনের রাজপরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসকে কিং চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ দেওয়া হবে।

আগামী মঙ্গলবার অথবা বুধবার লন্ডনে বাকিংহাম প্রাসাদে রাজা চার্লসের সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎ হতে পারে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করবেন প্রধান উপদেষ্টা।

সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কালবেলাকে এমনটা নিশ্চিত করেছেন।

দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, অ্যাওয়ার্ড নিতে প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাচ্ছেন, এটা প্রায় চূড়ান্ত। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ১০ জুন রাতে সরকারপ্রধান লন্ডন পৌঁছাবেন এবং দেশে ফিরবেন ১৩ জুন। সফরের তৃতীয় দিনে (অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের দিন) যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে তার। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন।

কূটনীতিকরা জানান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আগামী বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিসহ দেশটির কয়েকজন মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এ কর্মসূচিগুলো দু-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।

তবে সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা হলে দুই দেশই নানা বিষয়ে গুরুত্ব দেবে বলে জানান তারা।

সরকারের প্রতি সমর্থন বাড়াতে সংস্কারপ্রক্রিয়ায় সমর্থন

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাজ্যের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপ দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ, তা এই সফরে জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের ভাবনা কী, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, সবাই সংস্কারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর যুক্তরাজ্যও চায় সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে নির্বাচন হোক। সংস্কারপ্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থন রয়েছে।

সুসাশন ও মানবাধিকার

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সুশাসন ও মানবাধিকার ইস্যুতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী। গেল ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্স ঢাকা সফর করেছেন। তিনি ন্যায়বিচার, জবাবদিহি, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ-সমতা এবং শ্রম অধিকার নিয়ে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আসবে তাদের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করা হবে জানা যায়।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাবে ঢাকা

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে পোশাক শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, বিমান পরিবহন, অবকাঠামো, প্রযুক্তি ও পরিষেবা খাতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্রমাগত বাড়ছে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির প্রধান পণ্য পোশাক ও বস্ত্র।

এ ছাড়া চিংড়ি, বাইসাইকেল ও হস্তশিল্প রপ্তানি হয়। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ লোহা ও স্ক্র্যাপ, যন্ত্রপাতি, জেনারেটর, এয়ারক্র্যাফটসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করে এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে শিল্প, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির বিষয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে আগ্রহ থাকবে।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার আলোচনা

বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। গত মার্চে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাজ্যের আর্থিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর লন্ডনে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন, যাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

ব্রিটিশ সরকারকে বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে। ফলে এ বিষয়টিও উভয় পক্ষের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে বলে জানা যায় সংশ্লিষ্ট সূত্রে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্যেও সমর্থন

যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছে এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা দিয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের মাধ্যমে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করছে, যাতে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।