সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ দলের হার কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেছে গতকাল শেষ বিকালেই। সোমবার শ্রীলংকার ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে টাইগারদের ইনিংস শেষ হলো ১৮২ রানে।
প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকা তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ২৮০ ও ৪১৮ রান করে।
আগের দিনের ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শেষের পর চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ লড়েছে লাঞ্চের কিছুটা বেশি। একপ্রান্তে মুমিনুল হক টিকে থেকে দেখেছেন বাকিদের আসা যাওয়া। হার অনুমিতই ছিল। তবে মেহেদি হাসান মিরাজ আর শরিফুল ইসলামের কল্যাণে সেটা খানিক দেরিতেই এসেছে।
গতকালের ধাক্কা কিছুটা সামলে নিলেও আজ সকালে তাইজুল বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৬তম ওভারে কাসুন রাজিতার রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করে বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন ১৫ বলে ৬ রান করা তাইজুল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান রিভিউ নিলেও কাজে আসেনি সেটি। বাংলাদেশের রান তখন ৫১। সেখান থেকে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর ১০০ পার করান মুমিনুল।
মিরাজের সঙ্গে মুমিনুলের জুটিতে ১০৫ বলে আসে ৬৬ রান। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৩৩ রান, ৬টি চার ছিল তার ইনিংসে। ৩৩তম ওভারে রাজিতার বলে অফ সাইডে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে থামেন মিরাজ।
এরপর শরিফুল এসে মুমিনুলকে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন আরও ৪৭ রান। নিজে করেছেন ১২ রান। তবে ৪১ বল খেলার পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে তার। স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে গিয়ে রাজিথার বলে কট এন্ড বোল্ড জন তিনি। পরের বলেই ফিরে যান খালেদও।
শেষ ব্যাটার হিসেবে নাহিদ রানা ফিরেছেন ডাক মেরে। লাহিরু কুমারার বাউন্সারে পরাস্ত হন তিনি। ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।
২০০৯ সালে ৪৬৫ রানে শ্রীলংকার বিপক্ষে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার সেই লঙ্কানদের বিপক্ষে ফের রেকর্ড ব্যবধানেই হারতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের। রানের দিক থেকে ৬ষ্ঠ সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয় দেখতে হলো সিলেটে।