দেশে খাদ্যপণ্যের মজুত বাড়ানোর লক্ষ্যে ভারত ও পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন করে এক লাখ চাল আমদানি করা হবে। এতে আলাদা দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।
এদিন ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে’ উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তিন লাখ টন চাল আমদানির একটি প্রস্তাবেও সায় দেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। দেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি টিসিবির মাধ্যমেও সুলভ মূল্যে চাল বিক্রি করে সরকার। এর ফলে চালের মজুত কমে গেছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবারের হিসাবে, সরকারের কাছে ১২ লাখ ৪১ হাজার টন খাদ্যপণ্য মজুত রয়েছে। এর মধ্যে চাল রয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার টন।
চলতি অর্থবছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারিভাবে চাল আমদানি হয় ৩৫ হাজার টন চাল। আগের অর্থবছরে চাল আমদানি করতে হয়নি। এবারের আমন মৌসুমে সাড়ে ৬ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে সরকার। তবে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রগতি কম। গত ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্রয় অভিযান ১০ মার্চের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৬ টন সেদ্ধ চাল ও ৪৬ হাজার ৬০৬ টন আতপ চাল সংগ্রহ করা গেছে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের আলোচ্যসূচি থেকে জানা যায়, ভারতের গুরুদেও এক্সপোর্ট করপোরেশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন সেদ্ধ চাল কেনা হবে। খরচ পড়বে ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। পাকিস্তানের কাছ ৫০ হাজার টন আপত চাল কিনতে খরচ পড়বে ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
এছাড়াও বৈঠকে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবও পাস হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওকিউ ট্রেডিংয়ের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক ৪৪ ডলার এবং সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে ১৩ দশমিক ৮২ ডলার দরে কেনা হচ্ছে এবারের এলএনজি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য ৯৭ দশমিক ৯১ টাকা কেজি দরে ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ১১৭ দশমিক ৯০ টাকা দরে সিটি সুগার মিলের কাছ থেকে ৫ হাজার টন চিনি, মেঘনা সুগার মিলের কাছ থেকে ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা দরে ১০ হাজার টন চিনি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া টিকে গ্রুপের কাছ থেকে ১৬২ টাকা ৯৫ পয়সা দরে দুই কোটি ২০ লাখ লিটার পরিশোধিত পাম তেল ও ১৭১ টাকা ৫০ পয়সা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।