জাহাঙ্গীর বাবু
বিয়ের আগের ভালোবাসাতে
অর্থ ছাড়া পুলক ছিলো বেশি।
আবেগে কেঁদেই ফেলতাম
দেখার আকাঙ্ক্ষা,সে কি অস্থিরতা
কখন পাবো তারে আপন করে।
অসংখ্য বার বলেছি
ও প্রিয়া তোমায় নদী,সাগর
পাহাড়ের চেয়ে বেশি ভালোবাসি।
তোমার হরিণের ন্যায় চোখ,
আপেলের মতো গাল
কমলার কোয়ার মতো ঠোঁট
তোমার চোখের নদীতে ডুবে থাকতে চাই।
বিয়ের পর মোটামুটি বলেছি
বউ তোমায় ভালোবাসি।
ধীরে ধীরে বাড়লো খরচ
কমতে থাকলো ভালোবাসা।
যত বার অর্থের পরিমান বেড়েছে
সোনা,মানিক জান বেশি শুনেছি।
অর্থ কমে অনর্থক হয়েছি।
যতবার পরের অর্থ বিত্ত সম্পদ নিয়ে
খোঁটা দিয়েছো তুলনা করেছ
নীরব রক্ত ক্ষরণে লুকিয়ে অঝোরে কেঁদেছি।
তুমিও কেঁদেছ বেশী অনেক বেশি
অবহেলা অনাদরে
তোমার উপর চাপিয়ে দেয়া চাপে
পরবর্তীতে আগুন্তুকদের সাথে
তোমার সময়ের অবিচারে।
সুখ খুঁজতে এ দিক ও দিক ঢু দিতে চেয়েছ
আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে
সন্তানের মুখ চেয়ে সয়েছ।
সময় গেলো ক্যালেন্ডারের পর ক্যালেন্ডারে।
এখন শুধু দায়িত্ব আর দায়িত্ব।
সমঝোতা আর সমঝোতা।
বিছানায় হক আদায় এক অপরের।
ব্যাস, ভালোবাসা কই, নদী,সাগর,পাহাড়
ঝর্ণার অপরুপ রুপ কই।
হরিণ বিলীন, আপেল,কমলায় ফরমালিন।
মাছ মাংস কালে ভদ্রে,
তেল,পেয়াজ নিয়ে কাড়াকাড়ি।
মুখ লুকিয়ে টিসিবির লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা।
স্কুল,কলেজ,হাসপাতালের বারান্দার
প্রতিযোগিতায় শুধুই দীর্ঘশ্বাস।
অস্থিরতা এতোই বেশি,ভূলেই গেছি
সেই কবে প্রাণ খুলে হেসেছ
কবে আমি হেসেছি
চাপ,চাপ নিয়ে বেঁচে আছি।
কাজ থাকলে কাজের চাপ,
কাজ না থাকলে কাজ খোঁজার চাপ!
সংসারের বাস্তিবতার চাপ
ভুলে গেছি
কবে সত্যিকারে ভালোবেসেছি।
নিন্মবিত্ত আর মাধ্যবিত্তের মাঝামাঝি
কবিতায় কতবার জোর করেই ভালোবেসেছি।
ক্ষমা করে দিও, বিত্তের বৃত্তের অক্ষাংশে
বিলীন হয়ে গেছে কলিজার মধ্যের দ্রাঘিমা।
হৃদ পিন্ডটা নড়ছে ধুঁকে ধুঁকে!
ভুলে গেছি
কবে সত্যিকারে ভালোবেসেছি।
ভুলেই গেছি, কবে শেষ বার বলেছি
আমি আজো তোমায় ভালোবাসি।
আজো তোমায় নিয়ে ভালোবাসার কবিতা লিখি
হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণে।
ভুলেই গেছি, কবে শেষ বার বলেছি
ভালোবাসি