ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ‘গোর্কি’ স্মরণে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাংবাদিক

১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বরের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় “গোর্কি” স্মরণে ভোলা প্রেসক্লাবে শোভাযাত্রা, স্মরণসভা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে উপকূল ফাউন্ডেশন, ব-দ্বীপ ফোরাম, জাগরণ ফাউন্ডেশন, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও যুবশক্তি ছাত্র কল্যাণ সংঘসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এ আয়োজন হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান, এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ, ভোলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাব আহ্বায়ক এ্যাড. আমিরুল ইসলাম বাছেত এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জামিল হোসেন ওয়াদুদ।

ব-দ্বীপ ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী মীর মোশারেফ অমির সভাপতিত্বে এবং উপকূল ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবু তাহের, দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সাহাদাত শাহিন, শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক শিমূল চৌধুরী, ক্যাব ভোলার সভাপতি মো. সোলাইমান, কবি ডা. মো. মহিউদ্দিন, এম শাহরিয়ার ঝিলন, ইয়াছিন আরাফাত, এ্যাড. ইয়ামিন হোসেন, যুবশক্তি ছাত্র কল্যাণ সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল্লাহ আর মামুন, মোঃ হানিফ খলিফা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি শারমিন আক্তার খলিফা, মো. সুমন ও মো. শান্ত প্রমুখ।

সভায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন যুবশক্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. শাকিব এবং ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন মো. আবদুর রহমান।

আলোচনা শেষে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম নবী আলমগীর বলেন,

> “১৯৭০ সালের এই দিনে ঘূর্ণিঝড় গোর্কি উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে এক চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানাতে হবে, যাতে তারা দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন হতে পারে।”

বক্তারা জানান, ওই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, ধ্বংস হয় লাখো ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধু ভোলা জেলাতেই আনুমানিক ৫ লাখ মানুষ মারা যায়।সভায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা ও প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
৫১০ Time View

ভোলায় ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ‘গোর্কি’ স্মরণে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটের সময় : ০৪:৩২:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বরের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় “গোর্কি” স্মরণে ভোলা প্রেসক্লাবে শোভাযাত্রা, স্মরণসভা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে উপকূল ফাউন্ডেশন, ব-দ্বীপ ফোরাম, জাগরণ ফাউন্ডেশন, যুব রেড ক্রিসেন্ট ও যুবশক্তি ছাত্র কল্যাণ সংঘসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এ আয়োজন হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান, এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ, ভোলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাব আহ্বায়ক এ্যাড. আমিরুল ইসলাম বাছেত এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জামিল হোসেন ওয়াদুদ।

ব-দ্বীপ ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী মীর মোশারেফ অমির সভাপতিত্বে এবং উপকূল ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবু তাহের, দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সাহাদাত শাহিন, শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, সাংবাদিক শিমূল চৌধুরী, ক্যাব ভোলার সভাপতি মো. সোলাইমান, কবি ডা. মো. মহিউদ্দিন, এম শাহরিয়ার ঝিলন, ইয়াছিন আরাফাত, এ্যাড. ইয়ামিন হোসেন, যুবশক্তি ছাত্র কল্যাণ সংঘের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল্লাহ আর মামুন, মোঃ হানিফ খলিফা স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি শারমিন আক্তার খলিফা, মো. সুমন ও মো. শান্ত প্রমুখ।

সভায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন যুবশক্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. শাকিব এবং ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন মো. আবদুর রহমান।

আলোচনা শেষে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম নবী আলমগীর বলেন,

> “১৯৭০ সালের এই দিনে ঘূর্ণিঝড় গোর্কি উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে এক চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছিল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানাতে হবে, যাতে তারা দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন হতে পারে।”

বক্তারা জানান, ওই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়, ধ্বংস হয় লাখো ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধু ভোলা জেলাতেই আনুমানিক ৫ লাখ মানুষ মারা যায়।সভায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা ও প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।