ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার ডাকসু নির্বাচনে ২ হাজারের বেশি পুলিশ, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার নাটোরের বনপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি নেতাকর্মী অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে’ আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের প্রলোভন দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২ ফ্যাস্টিট শাসনে ধ্বংস হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করবে বিএনপি- মির্জা ফখরুল সারাদেশে ৩৩ হাজার মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, বসানো যাবে না মদ-গাঁজার আসর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দীঘিনালার দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান অফিস করেন না খাদ্য পরিদর্শক বেতন ভাতা নেন নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না: সেনাবাহিনী

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুরু আজ

সাংবাদিক

 

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলন দমন-পীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ রোববার শুরু হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ। রাজধানীর ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবে। এ বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফারুক আহাম্মদ জানান, আজ খোকন চন্দ্র বর্মণ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম সাক্ষ্য দেবেন।

এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। মামুন কারাগারে আটক থাকলেও হাসিনা ও কামালকে পলাতক দেখিয়ে বিচার চলছে। মামুন ইতোমধ্যে দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেছেন।

গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এই তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেয়। অভিযোগগুলোতে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা ও পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ ও ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’ আইনের ভিত্তিতে দায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার প্রধান পাঁচ অভিযোগের মধ্যে রয়েছে:

শেখ হাসিনা ১৪ জুলাইয়ের বক্তব্যের পর দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে দেড় হাজার মানুষ হত্যা ও ২৫ হাজারকে আহত করা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া।

রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট গোপন করা।

৫ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র সমাবেশের দিন চানখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা।

একই দিন সাভারে পুলিশের সহযোগিতায় ছয় আন্দোলনকারীকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলা।

২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল, সেই ট্রাইব্যুনালেই এবার বিচার শুরু হয়েছে দলের সাবেক প্রধানের।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। আদালতের নথি অনুযায়ী, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা, জাতীয় একটি দৈনিকের সম্পাদকসহ মোট ৮১ জন।

আওয়ামী লীগের দলীয় দায় নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে আইন সংশোধন করেছে সরকার। এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৩৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
৫৭০ Time View

মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুরু আজ

আপডেটের সময় : ০৩:৩৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

 

জুলাই-অগাস্টে আন্দোলন দমন-পীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ রোববার শুরু হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ। রাজধানীর ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষ সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করবে। এ বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফারুক আহাম্মদ জানান, আজ খোকন চন্দ্র বর্মণ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম সাক্ষ্য দেবেন।

এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। মামুন কারাগারে আটক থাকলেও হাসিনা ও কামালকে পলাতক দেখিয়ে বিচার চলছে। মামুন ইতোমধ্যে দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে আবেদন করেছেন।

গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এই তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেয়। অভিযোগগুলোতে ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলন দমনে ১৪০০ জনকে হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা ও পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ ও ‘জয়েন্ট ক্রিমিনাল এন্টারপ্রাইজ’ আইনের ভিত্তিতে দায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

মামলার প্রধান পাঁচ অভিযোগের মধ্যে রয়েছে:

শেখ হাসিনা ১৪ জুলাইয়ের বক্তব্যের পর দেশজুড়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়ে দেড় হাজার মানুষ হত্যা ও ২৫ হাজারকে আহত করা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করে দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া।

রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট গোপন করা।

৫ আগস্ট ঢাকায় ছাত্র সমাবেশের দিন চানখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা।

একই দিন সাভারে পুলিশের সহযোগিতায় ছয় আন্দোলনকারীকে হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলা।

২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল, সেই ট্রাইব্যুনালেই এবার বিচার শুরু হয়েছে দলের সাবেক প্রধানের।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার এই বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে। আদালতের নথি অনুযায়ী, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা, জাতীয় একটি দৈনিকের সম্পাদকসহ মোট ৮১ জন।

আওয়ামী লীগের দলীয় দায় নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে আইন সংশোধন করেছে সরকার। এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছে।