এখন থেকে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত সব ধরনের অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মাঝখানে দুদকের কাছ থেকে কিছু ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হলেও উচ্চ আদালতের আদেশে আবারও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত সব অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্তের পূর্ণ ক্ষমতা সংস্থাটিকে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মানিলন্ডারিংয়ের ব্যাপারে আগে সম্পূর্ণ তদন্ত করতে পারবে দুদক। মাঝখানে একটা আইন অ্যামেন্ডমেন্ট করে দুদকের কাছ থেকে কিছু ক্ষমতা নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি হাইকোর্ট একটা রায়ে বলেছেন, শিডিউল অফেন্স যেগুলো আছে, সবগুলো দুদক তদন্ত করতে পারবে। এখন দুদকের এ ক্ষমতা আছে।’
দুদকের কমিশনার বলেন, ‘গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়েছে, তফসিলভুক্ত যেকোনো অপরাধের বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারবে দুদক। আগে মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুসন্ধান করতে পারত সংস্থাটি। এখন থেকে সবগুলো অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার সুযোগ পাবে দুদক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছি না। বিষয়গুলো নিয়ে ভাববো। হাইকোর্ট বলেছেন, আমরা এটা পারি। কারণ, এখন আইন আছে, আমাদের ওপর নির্দেশনাও আছে। দুদক এখন যেকোনো তদন্ত করতে পারবে, যদি তা তফসিলভুক্ত হয়। এখন আমাদের জনবল লাগবে। আমরা লোক নিয়োগ করছি।’