জ্বালাও পোড়াও এবং মানুষ পুড়িয়ে মারার হুকুমদাতাদেরও গ্রেফতার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ইশরাক হোসেন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবারের মিছিলের সঙ্গে তার গ্রেফতারের কোনো সম্পর্ক নেই।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৯ সালের একটি বিষ্ফোরক মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি আছে। অন্যান্য মামলাও তার বিরুদ্ধে রয়েছে। আমি মনে করি, যারা জ্বালাও পোড়াও করেছিল এবং মানুষ পুড়িয়ে মারার হুকুম দিয়েছিল তাদেরকেও গ্রেফতার করা প্রয়োজন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করাতে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তা সঠিক নয় জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকা সফরকালে সেখানকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেননি। মিডিয়ার সামনে কথা বলার সময় তিনি এটা বলেছেন। আনুষ্ঠানিক আলোচনায় এটি নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত মত। নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না। আপনারা জানেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালে বিএনপি ট্রেন উঠবে কি উঠবে না এই দ্বিধায় ছিল। পরে ট্রেনের পাদানিতে চড়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে সংহত করতে নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি তো নির্বাচনকে ভয় পায়। বিএনপি যেহতু বারবার যেকোনো বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্না দেয়, সেজন্যই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেছেন। এটি তার একান্ত নিজস্ব বক্তব্য, সরকার বা দলের বক্তব্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে তাদের সামনে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করবো বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।