বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে সি ক্যাটাগরির অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৫০১টি কর্মসংস্থান সংস্থা সেবা প্রদান করতে পারবে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।
সারাভানান জানান, মালয়েশিয়ায় উৎপাদন, বৃক্ষরোপণ, পরিষেবা, নির্মাণ ও কৃষিতে কর্মী নিয়োগে এখন পর্যন্ত সেক্টরগুলোর নিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৪ জন বিদেশি কর্মীর আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উৎপাদন খাতে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৪৬ জন, পরিষেবা খাতে ৪৮ হাজার ১১৯ জন, বৃক্ষরোপণ খাতে ৩৬ হাজার ৯৫০ জন, নির্মাণ খাতে ২৭ হাজার ৩৩১ জন, কৃষি খাতে ৭ হাজার ২৪৮ জন এবং খনি ও খনন খাতে ২০ জন।
এসব আবেদন বর্তমানে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে শ্রমিকদের সব খাতের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়া যদি কোনো বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থা বিদেশী কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদনপত্রের এই নিয়মের অপব্যবহার করে তাহলে ০৩-৮৮৮৬ ৫১৯২ এই নম্বরে দেশটির জনশক্তি বিভাগে জানানোর অনুরোধ করেন এম সারাভানান।
এর আগে গেল বছরের ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত খাতগুলোর জন্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে একমত হয়।
এদিকে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার সঙ্গে শ্রমবাজার সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী কর্মী নেওয়ার বিমান ভাড়াসহ মালয়েশিয়া অংশের যাবতীয় খরচ বহন করবে নিয়োগদাতা। আর বাংলাদেশে পাসপোর্ট করা, মেডিকেল, কল্যাণ বোর্ড সদস্য ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করবেন কর্মী।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে এখন পর্যন্ত কারিগরি বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনকি মালয়েশিয়ায় প্রবেশে কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কত হবে, তা এখনো ঠিক করতে পারেনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।