হুট করে অবসরে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। গেছেন লম্বা বিশ্রামে। তবে সেদিন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে জাতীয় দলের মেন্টর করার দাবি জানালে সরকার প্রধান তখন মাশরাফীকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছিলেন। সেই প্রস্তাবে সায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও। যদি টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক রাজি থাকেন তবেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বিসিবি।
বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আজ বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের পর গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্ত তো বোর্ডের। নিশ্চয়ই মাশরাফি একজন সংসদ সদস্য। সাবেক অধিনায়ক। সে তো আসার কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে আসুক আমাদের কাছে। সে ভালো অধিনায়ক, গুড লিডার। বোর্ডে এলে আমরা আলাপ করব।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে হুট করেই অবসরের ঘোষণা দেন তামিম। পরদিন শুক্রবার মাশরাফীর মাধ্যমেই তাকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ সেই আলোচনায় নিজের অবসরের কারণ ও পারিপার্শ্বিকতা ব্যাখ্যা করেন তামিম। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অবসরের ঘোষণা প্রত্যাহার করেও নেন।
সেই আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের চাওয়ার কথা বলেন তিনি, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, মাশরাফী ভাইকে বিশ্বকাপের সময় এক-দেড় মাসের ছুটি দিন। আমরা তাকে বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে পেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী তখনই হেসে বলেছেন, অবশ্যই, মাশরাফী যাবে। মাশরাফি ভাইকে তিনি প্রস্তুত থাকতেও বলে দেন।’
মাশরাফী শুধু বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়কই নন, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্যও। মাশরাফী অবশ্য বললেন, এখনও এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসেনি।
তার মতে, ‘দেখুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি নিদের্শ দেন, তাহলে তো সেটা অবশ্যই মানতে হবে। কিছু করার নেই। তিনি আমাকে বলেছেন ভাবতে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, দল ঠিক আছে। এখানে বাড়তি কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। তার পরও সময় হলে দেখা যাবে।’
বিশ্বকাপ হবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে। ততদিনে জাতীয় নির্বাচনের তোড়জোরও শুরু হয়ে যাবে। মাশরাফী যদি আবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নের সবুজ সঙ্কেত পান, তাহলে নির্বাচনী ব্যস্ততার থাকার কথা তার।