মনির হোসেন ।। দেশে প্রতি বছর ঈদ-উল- ফিতর ও ঈদ-উল- আযহা উপলক্ষে বড় বড় মেঘাসিটিসহ জেলা শহর বা উপজেলা গুলোতে মৌসুমী সেমাই তৈরির হিড়িক পড়ে। বিশেষ করে জেলা শহরগুলোতে এর জন্য আলাদাভাবে কেউ কারখানা গড়ে তুলে না, ওই রুটি বিস্কুটের কারখানা বা বেকারিতেই ওইসব সহজলভ্য সেমাইগুলো তৈরি হয়ে থাকে স্থানীয়দের চাহিদা মেটাতে।
আর ওইসব কারখানাগুলোতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ হচ্ছে কিনা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আসন্ন ঈদ-উল- ফিতরকে কেন্দ্র করে সেমাই কারাখানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর এর অভিযানে সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদি ইউনিয়নের তালতলা বাজারে হারুন বেকারির জরিমানা আদায় ৪০ হাজার টাকা।
সোমবার ১০ এপ্রিল’২২ তারিখে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চাঁদপুর জেলা কার্যালয় কর্তৃক সেমাই কারখানাতে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন।
এ সময় তিনি সদরের মৈশাদীর তালতলা বাজার এলাকার নব্য পয়সাওয়ালা ও প্রতারক হারুনের “হারুন বেকারীর” ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ খুঁজে পান। অভিযানে প্রস্তুতকৃত সেমাইতে মাছি, মাকড়শার আঁশ, তৈরিকৃত ডালডা ও ঘিতে শুকনা পাতা ও ময়লা। এছাড়াও বাথরুমে সাবান ব্যবহার করা হচ্ছে না। ময়লা ও ঘর্মাক্ত হাত দিয়ে সেমাইয়ের কাই তৈরি করা, স্যাঁতসেঁতে মেঝে,খাবার তৈরি রুমে স্টাফদের জামাকাপড় ও সিগারেটের টুকরা ফেলে রাখা , প্যাকেটজাত সেমাইতে ওজনে কম দেয়াসহ সর্বোপরি অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরির অপরাধে ওই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক ৪০হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেন, চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকশ টিম।
ভোক্তার স্বার্থে ভোক্তা অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।