স্টাফ রিপোর্টার : মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দিতে সশন্ত্র হামলা, গুলি ও ককটেলের আঘাতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে ৮-১০টি। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এরা মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা গ্রুপের সমর্থক। আহত আরো ৩ জনকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মহসিনা হক কল্পনা গ্রুপের গুলিবিদ্ধরা হলেন, সেরাজল বেপারী (৬৫), হানিফ মোল্লা (৩৮), কালাম (২৮), সাজেদা বেগম (৬০)। বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারি গ্রুপের অপর আহত রুবেল (১৮) ও মতিন ঢালী (৩০)-কে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার আধিপত্য ও মাকহাটি জি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সোমবার ভোরে মাকহাটি ও মহেশপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আগামী ২৬ মে মাকহাটি জি.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। এই নির্বাচনে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারী গ্রুপের রাজারচর গ্রামের মুক্তার মন্ডল সভাপতি প্রার্থী। প্রার্থী রয়েছে মহসিনা হক কল্পনা গ্রুপের লোকজনও।
সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা জানান, নির্বাচনে আমার লোকজন যাতে অংশগ্রহন করতে না পারে এবং আমার লোকদের গ্রাম থেকে বিতাড়িত করার জন্য চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারি গ্রুপের লোকজন মাকহাটি ও রাজারচর গ্রামে সোমবার ভোরে ঝড়ো হয়। এরপর ভোর ৫ টার দিকে ফরহাদ খান, বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মল্লিক, মুক্তার মন্ডল, জুয়েল, প্রিন্স ও আরিফের নেতৃত্বে মাকহাটি, পূর্ব মাকহাটি, মধ্য মাকহাটি ও মহেশপুর গ্রামে শত শত রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তার লোকজন গুলিবিদ্ধ হয় এবং ৮-১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
বর্তমান চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটেয়ারি জানান, তার লোকজন কোন হামলা চালায়নি। সাবেক চেয়ারম্যান কল্পনার লোকজন পূর্ব মাকহাটি, মুন্সীকান্দি, উত্তর বেহেরকান্দি ও নোয়াদ্দা গ্রামে হামলা চালিয়েছে। তারা উত্তর বেহেরকান্দি গ্রামের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ডলির বাড়িঘরও ভাঙচুর করে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।