মহামারি কোভিডের সংক্রমণ ঠেকানোর নামে ট্রাম্পের আমলে আরোপিত আশ্রয় নিষেধাজ্ঞাগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন শুক্রবার জানিয়েছে, তারা মহামারী সংক্রান্ত আইন, যা আশ্রয়ের কোন সুযোগ প্রদান ছাড়াই অভিবাসীদের বহিষ্কারের অনুমতি দেয়া হতো তা পর্যায়ক্রমে বাতিল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন আশ্রয়প্রার্থীরা।
মহামারী সংক্রান্ত নিয়মটি ২৩ মে তে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে।
সীমান্ত ও অভিবাসন আইনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ব্লাস নুনেজ-নেটো বিবৃতিতে বলেন, কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গুয়েতেমালা, হুন্ডুরায় এবং এল সালভাদর থেকে অনেক প্রাপ্তবয়স্কদের প্রক্রিয়াকরণ করেছে। যারা আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবে।
এ বিবৃতি সরকারি আদালতের মামলার একটি বিষয় ছিল। যেখানে লুইসিয়ানা, অ্যারিজোনা এবং মিসৌরি আইনটি বহাল রাখার জন্য মামলা করেছে। পরে আরও ১৮ টি রাজ্য এসে এ দাবির সাথে যোগ দেয়।
নুনেজ নেটো বলে, মহামারীর সময় স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অভিবাসন আইন প্রয়োগ নতুন কিছু নয়। এখন যেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক তাই ২৩ মে থেকে এ নিয়ম বাতিল হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গুয়েতেমালা, হুন্ডুরায় এবং এল সালভাদর থেকে এক সপ্তাহে ১৪ শতাংশ অবিবাহিত যুবককে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী মার্চ মাসে এটি মাত্র ৫ শতাংশ বেড়েছে।
মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ অবিবাহিত যুবকদের ফিরিয়ে নিতে চাওয়ায় তারা এ আইনের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। তাই আইন তুলে নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের একটি অপশন হারিয়ে যাবে।
তবে বিচারক রবার্ট সামারহেইস কত দ্রুত রাজ্যগুলোর অনুরোধের ওপর রায় দেবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে টেক্সাস এ আইনের অবসানের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছে ফেডারেল আদালতে। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মামলাটি বিচারকের কাছে ন্যস্ত করা হয় নি। এছাড়া বিচার বিভাগ এ মামলায় মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের আওতায় ২০২০ সালের মার্চ থেকে মহামারী প্রতিরোধ করতে এ আইনের অধীনে ১৮ লক্ষ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হয়।