প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সব সময় চায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক। যুদ্ধ না, আমরা শান্তি চাই। সংঘাত না, আমরা উন্নতি চাই।
আজ রবিবার (২৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার শান্তি সেনানীরূপে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়। আজ আমরা সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে গৌরবের ৩৪ বছর উদযাপন করছি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে গত ৩৪ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রতিটি শান্তিরক্ষী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে পালন করে যাচ্ছেন। আজ সমগ্র বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বজনবিদিত।
এ সময় বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গকারী সকল শান্তিরক্ষীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল বাঙালি জাতিরই নন, তিনি ছিলেন বিশ্বের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের মুক্তির ও শান্তির দূত। এজন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ তাকে জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণে বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতি বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন। যে নীতি এখনও আমরা মেনে চলি। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করার দিকে মনোনিবেশ করেছি।
সরকার প্রধান বলেন, পিপল পিস প্রোগ্রেস : দ্য পাওয়ার অফ পার্টনারশিপ-২০২২ সালের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও জোরালো ভূমিকা পালনের অঙ্গীকার করছি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর তরুণ সদস্যরা ২১ শতকের বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।
শান্তিরক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের শান্তিরক্ষীদের একটা বিশেষ গুণাবলী হলো, শুধুমাত্র শান্তিরক্ষার দায়িত্বই পালন করেন না। সাথে সাথে অনেক সামাজিক দায়িত্বও তারা পালন করেন। তাই শিশু, নারী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের একটা বিশ্বাস, আস্থা আপনারা অর্জন করেন। সেজন্য আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই, ধন্যবাদ জানাই।