ঢাকা , শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জুলাইয়ে মব তৈরি করে হত্যা ১৬, অজ্ঞাতনামা ৫১ লাশ উদ্ধার দীর্ঘদিন পর রাণীশংকৈল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আবর্জনা সরানো হলো। ভুয়া সমম্বয়ক দেশে আরেকটি নতুন সংকট: দুদক চেয়ারম্যান গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের উদ্ধার প্রসঙ্গে সেনাসদরের বক্তব্য বড়াইগ্রামে ৬ লক্ষ টাকার চায়না জাল ধ্বংস রূপগঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা, আহত ৩ নওগাঁয় হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন ঢাকা মেডিকেল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক মিয়ানমারে প্রত্যাহার হচ্ছে জরুরি অবস্থা, ডিসেম্বরে নির্বাচন আগামী ৫-৬ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রেস সচিব

যুদ্ধবিরতি না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য: স্টারমার

সাংবাদিক

গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ না হলে ও টেকসই শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সেপ্টেম্বর মাসেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্যএমন বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক সরকারি বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের আগেই যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে। তবে এর জন্য শর্ত হলোইসরাইলকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, অধিকৃত পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে এগোতে হবে।

স্টারমার আরও বলেন, ‘ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে কোনো সমতুল্যতা নেই। হামাসকে অবশ্যই সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে, অস্ত্র পরিহার করতে হবে এবং গাজার প্রশাসনে তাদের কোনো ভূমিকাই থাকবে নাএই দাবিগুলো আমরা আগের মতোই জোর দিয়ে জানাচ্ছি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতৃত্বাধীন একটি খসড়া শান্তি উদ্যোগ ও গাজায় বাড়তি মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়েও এ বৈঠকে আলোচনা হয়। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের কোনো সরকারই নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে এমনভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির কথা বলেনি। তাই স্টারমারের এই ঘোষণা যুক্তরাজ্যের নীতিগত অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া

ইসরাইল যুক্তরাজ্যের এই ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একে ‘হামাসকে পুরস্কার দেওয়া’ বলে উল্লেখ করে বলেছে, এতে গাজায় যুদ্ধ শেষ করার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক্স-এ (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপ নতুন করে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও ধ্বংস করবে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি মার্চে ইসরায়েলই ভেঙে দিয়েছিল।

ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জোমলট বলেন, যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি একটি ‘ঐতিহাসিক ও নৈতিক গুরুত্ব’ বহন করে। তিনি বলেন, ‘এটি সেই উপনিবেশিক যুগের বেলফোর ঘোষণার অন্যায়ের প্রতিকারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেখানে ব্রিটেন ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থন জানিয়েছিল এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে অস্বীকার করেছিল।’

জোমলট বলেন, এই স্বীকৃতি অবশ্যই ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে একটি বড় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় গণহত্যা বন্ধ, পুনর্গঠন এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

লেবার পার্টির ভেতরের চাপ

স্টারমার নিজ দলের ভেতর থেকেই এই ঘোষণার জন্য চাপের মুখে ছিলেন। লেবার পার্টির অর্ধেকের বেশি ব্যাকবেঞ্চ এমপি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের মতে, এটাই ইসরায়েলকে শান্তির পথে বাধ্য করার একটি কৌশল হতে পারে।

এ বিষয়ে স্টারমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজার সহ্য-অযোগ্য পরিস্থিতি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আরও অধরা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই আমাদের এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য করেছে। এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকেই এগিয়ে নেবে।’

তিনি জানান, ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলে যুক্তরাজ্য একটি আট দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে এবং এই স্বীকৃতি সেই প্রক্রিয়ার অংশ। এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। ইউরোপের বড় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সই হবে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র, যারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এটাই শেষ সুযোগ’

লেবার এমপি ও চিঠির আয়োজক সারাহ চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আদর্শ সময় হয়তো কখনো আসবে না। কিন্তু এটি হতে পারে শেষ সুযোগযদি আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতির অধিকার রয়েছে।’

বিশ্লেষকের মত

আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, স্টারমার ও ম্যাক্রোঁদুজনই গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধকে কার্যত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু উচ্চাশার কথা বললে হবে না, তাদের কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে তারা এক অর্থে গণহত্যার অংশীদার হয়ে থাকবেন।’

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন—‘তারা ঠিক কোন ধরনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন? শুধু পশ্চিম তীরের ১০ শতাংশ অংশকে? নাকি ১৯৬৭ সালে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমসহ পুরো ভূখণ্ডকে নিয়ে একটি সার্বভৌম ও সংযুক্ত রাষ্ট্র?’

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
৫১৮ Time View

যুদ্ধবিরতি না হলে সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য: স্টারমার

আপডেটের সময় : ০৪:২৭:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ না হলে ও টেকসই শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সেপ্টেম্বর মাসেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্যএমন বার্তা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) জরুরি মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এক সরকারি বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের আগেই যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে। তবে এর জন্য শর্ত হলোইসরাইলকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, অধিকৃত পশ্চিম তীর দখলের পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পথে এগোতে হবে।

স্টারমার আরও বলেন, ‘ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে কোনো সমতুল্যতা নেই। হামাসকে অবশ্যই সকল জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে, অস্ত্র পরিহার করতে হবে এবং গাজার প্রশাসনে তাদের কোনো ভূমিকাই থাকবে নাএই দাবিগুলো আমরা আগের মতোই জোর দিয়ে জানাচ্ছি।’

ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতৃত্বাধীন একটি খসড়া শান্তি উদ্যোগ ও গাজায় বাড়তি মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়েও এ বৈঠকে আলোচনা হয়। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের কোনো সরকারই নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে এমনভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির কথা বলেনি। তাই স্টারমারের এই ঘোষণা যুক্তরাজ্যের নীতিগত অবস্থানে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া

ইসরাইল যুক্তরাজ্যের এই ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে একে ‘হামাসকে পুরস্কার দেওয়া’ বলে উল্লেখ করে বলেছে, এতে গাজায় যুদ্ধ শেষ করার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এক্স-এ (সাবেক টুইটার) প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়, যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপ নতুন করে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও ধ্বংস করবে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি মার্চে ইসরায়েলই ভেঙে দিয়েছিল।

ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হুসাম জোমলট বলেন, যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি একটি ‘ঐতিহাসিক ও নৈতিক গুরুত্ব’ বহন করে। তিনি বলেন, ‘এটি সেই উপনিবেশিক যুগের বেলফোর ঘোষণার অন্যায়ের প্রতিকারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেখানে ব্রিটেন ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থন জানিয়েছিল এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে অস্বীকার করেছিল।’

জোমলট বলেন, এই স্বীকৃতি অবশ্যই ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে একটি বড় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় গণহত্যা বন্ধ, পুনর্গঠন এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

লেবার পার্টির ভেতরের চাপ

স্টারমার নিজ দলের ভেতর থেকেই এই ঘোষণার জন্য চাপের মুখে ছিলেন। লেবার পার্টির অর্ধেকের বেশি ব্যাকবেঞ্চ এমপি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের মতে, এটাই ইসরায়েলকে শান্তির পথে বাধ্য করার একটি কৌশল হতে পারে।

এ বিষয়ে স্টারমার সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজার সহ্য-অযোগ্য পরিস্থিতি ও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আরও অধরা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাই আমাদের এই সিদ্ধান্তে আসতে বাধ্য করেছে। এটি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকেই এগিয়ে নেবে।’

তিনি জানান, ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে মিলে যুক্তরাজ্য একটি আট দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে এবং এই স্বীকৃতি সেই প্রক্রিয়ার অংশ। এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। ইউরোপের বড় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সই হবে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র, যারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এটাই শেষ সুযোগ’

লেবার এমপি ও চিঠির আয়োজক সারাহ চ্যাম্পিয়ন বলেন, ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আদর্শ সময় হয়তো কখনো আসবে না। কিন্তু এটি হতে পারে শেষ সুযোগযদি আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনিদের স্বীকৃতির অধিকার রয়েছে।’

বিশ্লেষকের মত

আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেন, স্টারমার ও ম্যাক্রোঁদুজনই গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধকে কার্যত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু উচ্চাশার কথা বললে হবে না, তাদের কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে তারা এক অর্থে গণহত্যার অংশীদার হয়ে থাকবেন।’

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন—‘তারা ঠিক কোন ধরনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চাইছেন? শুধু পশ্চিম তীরের ১০ শতাংশ অংশকে? নাকি ১৯৬৭ সালে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমসহ পুরো ভূখণ্ডকে নিয়ে একটি সার্বভৌম ও সংযুক্ত রাষ্ট্র?’