যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সফরে গিয়েছেন ইউরোপের তিন দেশ- চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা।
কিয়েভের উদ্দেশ্যে তাদেরকে বহনকারী ট্রেনটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে পোলিশ-ইউক্রেনীয় সীমান্ত অতিক্রম করেছে। ভার্সাইতে সাম্প্রতিক ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের সময় এই সফরের আয়োজন করা হয়েছিল।
চেক প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নের অকুণ্ঠ সমর্থন নিশ্চিত করাই এ সফরের উদ্দেশ্য। এ ছাড়া এ সফরে ইউক্রেন ও ইউক্রেনীয় নাগরিকদের জন্য ত্রাণসহায়তা তুলে দেওয়া হবে’।
ডুরকজিক আরও বলেন যে, ন্যাটো যুদ্ধে সামরিকভাবে জড়িত হবে না তবে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সহায়তা করার জন্য যথাসাধ্য করবে।
এদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চতুর্থ দফার নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নতুন এ সিদ্ধান্তের আওতায় রাশিয়ায় বিলাসবহুল পণ্য রপ্তানি ও স্টিলের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান মিশাল ডুরকজিক বলেছেন, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি হিসাবে ভ্রমণ করছেন এবং ইউক্রেনের জন্য একটি কংক্রিট সহায়তা প্যাকেজের বিশদ বিবরণ উপস্থাপন করবেন।