দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ। যে দল হারবে, তারা বাদ। জয়ী দল চলে যাবে ফাইনালে। এমন গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ আলাদা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবালের অদৃশ্য দ্বৈরথের কারণে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ফরচুন বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর।
ফরচুন বরিশালের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৫০ রানের। রান তাড়ায় নেমে তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দেখেশুনে শুরু করেছিলেন তারা। কিন্তু চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়েই জোড়া শিকার করেন আবু হায়দার রনি। ৮ বলে ১০ করে তামিম ক্যাচ তুলে দেন, এক বল পর এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন মিরাজ (১৮ বলে ৮)।
২২ রানে ২ উইকেট হারানো বরিশালকে এরপর টেনে নিয়ে যান সৌম্য সরকার আর মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেটে ৩৭ বলে ৪৭ রান যোগ করেন তারা। সৌম্য ১৮ বলে ২২ করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর মুশফিক ২৭ বলে ৫০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন কাইল মায়ার্সের সঙ্গে। মায়ার্স করেন ১৫ বলে ২৮। বাকি পথটুকু ডেভিড মিলারকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন মুশফিক। মুশফিক ৩৮ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন। মিলার করেন ১৮ বলে অপরাজিত ২২।
বরিশাল একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), আহমেদ শেহজাদ, সৌম্য সরকার, কাইল মায়ার্স, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, আকিব জাভেদ, ওবেদ ম্যাকয়।
রংপুর একাদশ: রনি তালুকদার, নিকোলাস পুরান, সাকিব আল হাসান, শেখ মেহেদি, জিমি নিশাম, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবি, আবু হায়দার রনি ও হাসান মাহমুদ।